ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় – ১১টি প্রধান কৌশল

ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় সমূহের মধ্যে ১১টি প্রধান ও প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো সহজভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি যাতে করে যেকোন বয়সের মানুষের জন্যই বুঝতে সহজ হয়।

আপনি কি ওয়েবসাইট বা ব্লগে ভিজিটর সংকটে ভুগছেন? অনেক ভালো ভালো কন্টেন্ট নিয়মিত প্রকাশ করার পরও আশানুরুপ দর্শক বা ভিজিটর পাচ্ছেন না? আমাদের আজকের লেখাতে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন বা এসইও (SEO) করে ভিজিটর বৃদ্ধি করার উপায় বা ১১টি প্রধান পদ্ধতি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

এখানে এসইও করে ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় সমূহের মধ্যে প্রধান যে বিষয়গুলো সবচাইতে বেশী প্রয়োজনীয়, সে বিষয়গুলো সহজভাবে এমনভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি যাতে করে যেকোন বয়সের এবং ব্লগিং অভিজ্ঞতার মানুষই সহজে বুঝতে পারেন। আশা করি লেখাটি পড়ে এ বিষয়ে আগ্রহী প্রতিটি ব্যক্তিরই কিছুটা কাজে আসবে।

Table of Contents

এসইও করে ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায়

এসইও করে ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায়
Photo by Pixabay on Pexels.com

সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন করে ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়ানোর উপায় সমূহ নীচে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি লেখাটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালোভাবে পরা হলে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন সম্পর্কে একেবারেই অনভিজ্ঞ থেকে শুরু করে এসইও করে ভিজিটর বৃদ্ধি করার বিষয়ে কাজ করতে ইচ্ছুক প্রতিটি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাজে আসবে।

আসুন, তবে আর দেরি না করে এসইও করে ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় সমূহ একটু ভালোভাবে বোঝার চেষ্টা করি এবং যথার্থ ক্ষেত্রে তা প্রয়োগ করে নিজেদের দর্শক বা ভিজিটরহীন ওয়েবসাইট বা ব্লগগুলোকেও একটু প্রাণবন্ত জনমানবের কোলাহলে পূর্ণ করার চেষ্টা করি।

১। জনপ্রিয় সমসাময়িক বিষয় নিয়ে লিখিত মানসম্পন্ন মৌলিক লেখা

(ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় সমূহের মধ্যে অন্যতম)

আপনি যদি অনলাইনে লেখালেখি করে টাকা আয় করার ইচ্ছা পোষন করেন তবে এ বিষয়টি আপনাকে সবার প্রথমে বিবেচনা করতে হবে। অর্থাৎ সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন বা এসইও করে একটি ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় সমূহের মধ্যে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে লেখা প্রকাশের গুরুত্ব সর্বাধিক।

একটা উদাহরণ দিলে ব্যাপারটা পরিষ্কার হবে।

সংবাদপত্রের কথাই ধরুন না কেন। আজকে যা মানুষ আগ্রহ নিয়ে টাকা দিয়ে কিনে পড়ছে, কালই সেই পত্রিকার মূল্য শূণ্যের কোঠায় পৌছে যায়।

কারণ মানুষ পুরোনো সংবাদ পড়তে চায়না। ঠিক একইভাবে আপনার লেখার বিষয় যদি সমসাময়িক ঘটনাপ্রবাহ সংশ্লিষ্ট হয় তবে সে লেখার প্রতি বেশী দর্শক আকৃষ্ট হবে।

ফলশ্রুতিতে উক্ত লেখার পেজভিউ বাড়বে।

জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিনগুলো কিন্তু আপনার লেখার মান অধিকাংশ ক্ষেত্রে পেজভিউ দেখে নির্ধারণ করে।

তবে, এক্ষেত্রে অবশ্যই বিষয়ের সর্বজনীন গুরুত্ব থাকতে হবে। যেমন ধরুন- আজ অমুক ব্যক্তি বিয়ে করেছেন। গতকাল তমুক ব্যক্তি দূর্ণীতির কারণে গ্রেপ্তার হয়েছেন; এ ধরণের তথ্য আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়ানোর ক্ষেত্রে বিন্দুমাত্র ভূমিকা পালন করবে না।

অন্যদিকে আপনার লেখার বিষয়বস্তু যদি এমন হয়- “ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২০ সনে অনুষ্ঠিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে পরাজয় বরণ করার মূল কারণ” তবে সেই লেখার প্রতি যেমন দর্শক সহজেই আকৃষ্ট হবে। ঠিক তেমনি করে আজ থেকে ১০ বৎসর পরও লেখাটির আবেদন হারাবে না।

এছাড়া লেখাটি যদি মৌলিক না হয়ে অন্য কোন লেখা থেকে চুরি করা হয় তবে দর্শকরা যেমন সেই লেখাকে পড়তে পছন্দ করবেনা, ঠিক একইভাবে সার্চ ইঞ্জিনগুলোও দর্শকদের আগ্রহের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আপনার লেখাকে সার্চ রেজাল্ট থেকে মুছে ফেলবে।

২। লেখার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছবি, অডিও, ভিডিও, রেফারেন্স লিংক প্রভৃতি যুক্ত করা

বিষয়টি বুঝাতে আশা করি খুব বেশী কষ্ট করতে হবে না।

এই লেখাটিই তার উদাহরণ হতে পারে। কেননা নিশ্চয়ই দেখতে পেরেছেন- লেখার শুরুতে একটি ছবি দেয়া আছে। যেখানে ইংরেজী হরফে বড় করে লেখা আছে- SEO Tips

অর্থাৎ ছবি দেখেই বুঝা যাচ্ছে এই লেখায় সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন বা SEO সংশ্লিষ্ট পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

কারণ স্বাভাবিক চঞ্চলতা বশত অনেকক্ষেত্রে মানুষ কম্পিউটার বা মোবাইলের স্ক্রীনে কোথায়, কি লেখা আছে তা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে পছন্দ করে না বা সেই সময়ও পাওয়া যায় না।

অপরদিকে একটি ছবি, অডিও বা ভিডিও লিংক কিন্তু সহজেই তার আকার, আকৃতি বা সয়ংক্রিয়ভাবে সচলতার কারনে দৃষ্টিকে তার দিকে একবারের জন্য হলেও আকর্ষিত করে।

যখনই ঐ স্ক্রীনে এমন কোন ছবি সে দেখতে পায় যাতে লেখা বা প্রকাশ করা বিষয়বস্তুটিই সে মনে মনে খুঁজছে তখন স্বাভাবিকভাবে তার প্রতি আকৃষ্ট হয় ও তা পড়ে দেখতে ইচ্ছুক হয়।

একটি নির্দিষ্ট লেখার দর্শকপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে বা সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশনে এর গুরুত্ব বিচারে তাই এ বিষয়টি ২য় অবস্থানে ছিল, আছে এবং থাকবে।

৩। কিওয়ার্ড রিসার্চ (Keyword Research) করে লেখার বিষয়বস্তু নির্ধারণ করা

এ বিষয়টি ঠিক প্রথমটির মতই। তবে একটু ভিন্ন।

এক্ষেত্রে আপনাকে সমসাময়িক ঘটনাপ্রবাহ থেকে যে বিষয়টি মানুষ ইন্টারনেটে সবচেয়ে বেশী খুঁজে বেড়ায় তার মধ্য থেকে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ শব্দসমূহ বা কিওয়ার্ড যাচাই ও বাছাই করতে হবে।

পরে সেই শব্দসমূহকে আলোচনার বিষয়বস্তু হিসেবে নির্ধারণ করে লেখাটা সাজাতে হবে।

ওয়েবসাইট বা ব্লগের এসইও করার জন্য কিভাবে কিওয়ার্ড বাছাই করবেন?

মনে করুন আপনি গুগলে চিকিৎসা বিষয়ক সাইট খুঁজবেন। তো গুগল সার্চ এ প্রবেশ করলেন।

সার্চ বক্সে লিখতে থাকলেন। দু-চারটি বর্ণ লেখার পরে হয়ত লক্ষ করেছেন সার্চ বক্সের নিচের দিকে ঐ লেখার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিছু লেখা বা শব্দ দেখা যায় যা কিনা আপনাকে আপনার সার্চ করা বিষয়ের জন্য পরামর্শক এর মত কাজ করে।

এছাড়া সার্চ রেজাল্টের নিচেও ঠিক একই প্রকার কিছু লেখা বা সাজেসন্স গুগল নিজে থেকেই আপনাকে দেখায়।

মূলত এই শব্দগুলোই হচ্ছে কিওয়ার্ড।

কারণ এই শব্দগুলো ভিজিটররা প্রায়ই খুঁজে বেড়ায় বলে গুগল সেগুলো আপনাকে পড়ে দেখার জন্য পরামর্শ প্রদান করে।

সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (এসইও) এর মূল ভিত্তি – অনপেজ এসইও (On Page SEO)


৪। ৬০ অক্ষরের মধ্যে বাছাইকৃত কিওয়ার্ড সমৃদ্ধ পেজ টাইটেল দেয়া

ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় সমূহের বিবেচনায় একটি প্রধান গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে- টাইটেল।

আপনি আপনার লেখাটা কি বিষয়ে লিখেছেন তা টাইটেল হিসেবে ৬০টি অক্ষরের মধ্যে সংক্ষিপ্তাকারে লিখবেন।

কিভাবে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) সহায়ক টাইটেল বা শিরোনাম লিখবেন?

একটি সুন্দর টাইটেল বা শিরোনাম একটি লেখার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি ও সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও এর ক্ষেত্রে খুবই প্রয়োজনীয় একটি বিষয়।

আপনার টাইটেল বা শিরোনাম এমনভাবে লিখবেন যাতে করে আপনার লেখার সম্ভ্যাব্য দর্শক হৃদয়ে তা দাঁগ কাটে বা প্রশ্নের উদ্রেক করে।

শিরোনাম পড়ে সে যেন মূল লেখাটি পড়ার জন্য উৎসাহী হয়ে উঠে।

প্রয়োজনে শিরোনাম লেখার আগে একটি সুন্দর, আকর্ষণীয় শিরোনাম বাছাই করার জন্য অনলাইনে একটু রিসার্চ করে নেবেন।

আপনার লেখার সাথে প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড খুঁজে বের করে তা টাইটেল বা শিরোনামে এমনভাবে ব্যবহার করবেন যাতে করে তা মূল বাক্যের অর্থের কোন প্রকার ক্ষতি না করে।

৫। সম্পূর্ণ লেখায় কি বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে তার সারাংশ ১৬০ অক্ষরের মধ্যে ডেস্ক্রাইপশন মেটা ট্যাগ হিসেবে ব্যবহার করা

ডিস্ক্রাইপশন মেটা ট্যাগ একটি লেখার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করা বা ধরে রাখার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

কারণ সার্চ ইঞ্জিন যখন আপনার লেখার লিংকটি তার সার্চ বক্সে প্রদর্শন করে তখন একজন ভিজিটর প্রাথমিকভাবে শুধুমাত্র আপনার লেখার টাইটেল ও ডেস্ক্রাইপশন দেখতে পায়।

সুতরাং বুঝতেই পারছেন, ভিজিটর আপনার লেখার টাইটেল ও ডেস্ক্রাইপশন পড়ে যদি আগ্রহী না হয় তবে সে আপনার লিংকে ক্লিক করবেনা।

ফলশ্রুতিতে কষ্ট করে লেখাটা আপনার অপ্রকাশ্যই থেকে যাবে।

সুতরাং একটি প্রকাশনা লিখে অবশ্যই তাতে এমন কিছু লেখা ডেস্ক্রাইপশন মেটা ট্যাগ হিসেবে লিখবেন যাতে করে সেই লেখাটি আপনার দর্শকের মনে দাগ কাঁটে ও আপনার লেখাটি পড়তে সে উৎসাহ বোধ করে।

৬। লেখার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ জনপ্রিয় কিওয়ার্ড মেটা ট্যাগ ব্যবহার করা

কিওয়ার্ড সম্বন্ধে আগেই বলেছি। আপনার বাছাই করা কিওয়ার্ড ডেস্ক্রাইপশন মেটা ট্যাগ এর ঠিক নিচেই কিওয়ার্ড মেটা ট্যাগ হিসেবে যুক্ত করবেন।

৭। ক্যানোনিক্যাল ইউ আর এল ট্যাগ ব্যবহার করা

ক্যানোনিক্যাল ইউ আর এল একটি নির্দিষ্ট লেখার কোন সংস্করণটি সার্চ ইঞ্জিন গ্রহণ করে তার সার্চ রেজাল্টে প্রকাশ করবে সে বিষয়ে সার্চ ইঞ্জিনকে নির্দেশনা প্রদান করে।

একটি ওয়েবসাইটের অথবা তার আর্টিকেল সমূহের সাধারণত কয়েকটি সংস্করণ থাকে। নিচের ওয়েব এড্রেস গুলো লক্ষ্য করে দেখুন।

http://howtoblog.biz
https://howtoblog.biz

এবং

http://www.howtoblog.biz
https://www.howtoblog.biz

উপরের সবগুলো ওয়েব এড্রেসই কিন্তু সচল। এইভাবে প্রতিটি পেজ ও আর্টিকেলের বেশ কয়েকটি করে সংস্করণ তৈরি হয়।

এছাড়াও তৈরি করা যায় একই পেজের জন্য মোবাইল সংস্করণ, অ্যাক্সালারেটেড মোবাইল পেজেস বা এএমপি সংস্করণ প্রভৃতি।

একটু ভেবে দেখুন তো, সবগুলো সংস্করণ কিন্তু শুধুমাত্র একটি ওয়েবপেজ এর জন্য।

এতে সমস্যাটা কি?

সমস্যা হচ্ছে, আপনার ওয়েব পেজ ডুপ্লিকেট হয়ে যাচ্ছে।

আপনি এতো কষ্ট করে কারো লেখা চুরি না করে নিজের মতো করে একটি মৌলিক লেখা লিখে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করলেন অথচ গুগল বলছে আপনি কন্টেন্ট ডুপ্লিকেট বা চুরি করেছেন।

গুগল আপনার লেখা একারণে সার্চ রেজাল্টে স্থান দিচ্ছে না।

একারণেই সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশনের ক্ষেত্রে ক্যানোনিক্যাল ইউ আর এল ট্যাগ ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

কারণ ক্যানোনিক্যাল ইউ আর এল ট্যাগ একটি নির্দিষ্ট লেখাকে ডুপ্লিকেসি থেকে রক্ষা করে।

এই ট্যাগ এর মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন রোবটকে বোঝানো যায় যে, সে একটি নির্দিষ্ট ওয়েব পেজ এর কোন সংস্করণটি তার সার্চ রেজাল্টে প্রকাশ করার জন্য ইনডেক্স বা ডাটাবেজে তুলে রাখবে।

এ বিষয়ে পরবর্তীতে আর একটি লেখাতে আমি বিস্তারিত জানাব বলে আশা রাখি।

৮। যথার্থভাবে হ্যাডলাইন (h1 – h6) ব্যবহার করা

সম্পূর্ণ লেখাকে হ্যাডলাইন এর মাধ্যমে বিন্যস্ত করা হলে লেখাটি যেমন সুন্দর দেখায় তেমনি তা দর্শকদেরও লেখার কোন অংশে কি বষয়ে লেখা হয়েছে এবং কোন তথ্যের গুরুত্ব বা প্রয়োজনীয়তা কতটুক তা বুঝাতে সাহায্য করে।

আমি আগেও বলেছি, প্রতিটি সার্চ ইঞ্জিনই দর্শক চাহিদার ব্যাপারটির প্রতি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকে।

এ কারণেই সার্চ ইঞ্জিনগুলো একটি লেখার অধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য খুঁজে বের করার জন্য হ্যাডলাইনগুলোকে প্রধান লক্ষ্যবস্তু হিসেবে ভালভাবে পড়ে নেয় ও তার ডাটাবেজে সংরক্ষিত রাখে।

৯। ইমেজ অপটিমাইজেশন

(ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় সমূহের মধ্যে অনপেজ এসইও সংশ্লিষ্ট আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি)


সার্চ ইঞ্জিন বা তার প্রযুক্তি একটি ওয়েবপেজে দেয়া ইমেজ কিন্তু দেখতে পায় না। বরং উক্ত ইমেজের অল্টারনেটিভ ট্যাগ এ কি লেখা আছে তা খুঁজে দেখে।

যদি সে অল্ট ট্যাগ খুঁজে কিছু না পায় তবে সেই ইমেজ সম্পর্কিত কোন তথ্য তার ডাটাবেজে সংরক্ষন করে না বা করতে পারেনা।

অতএব, সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্টে প্রথম সারিতে আসতে হলে আপনাকে অবশ্যই প্রতিটি ইমেজকে সঠিকভাবে অল্ট ট্যাগ দ্বারা অপটিমাইজ করতে হবে।

এতে তিনটি সুবিধা পাওয়া যায়।

প্রথমত- প্রতিটি ইমেজ সম্পর্কিত তথ্য সার্চ ইঞ্জিনের জন্য সংরক্ষণ করা সহজ হয়।

দ্বিতীয়ত- কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি কোন তথ্য জানার জন্য ইমেজ সার্চ করে এবং সেই সার্চের প্রথম দিকে আপনার আর্টিকেলের ইমেজটি খুঁজে পায় তবে ঐ ইমেজ এর সূত্র ধরে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে দেখার জন্য সে উৎসাহিত হয়ে উঠতে পারে।

অর্থাৎ, ইমেজ এর অল্ট ট্যাগ এক্ষেত্রে নতুন ভিজিটর তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

তৃতীয়ত- কোন কারনে ব্রাউজারে ইমেজ লোড হতে সক্ষম না হলে সেক্ষেত্রে ভিজিটরদের সামনে অল্টারনেটিভ ট্যাগে লেখা তথ্যসমূহ উপস্থিত করা হয়।

এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য একটি তথ্য না দিলেই নয়। অল্ট ট্যাগ হিসেবে আপনি আর্টিকেলের জন্য খুঁজে বের করা প্রধান কিওয়ার্ড ব্যবহার করবেন।

এতে করে নিশ্চিত ভাবে তা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

এছাড়া আপনার সাইটটি যাতে দ্রুত গতিতে ভালভাবে খুলতে সক্ষম হয় তার জন্য ইমেজ এর ফাইল সাইজ যতটা সম্ভব ছোট ও কম্রেস ফরমেটে রাখবেন এবং ইমেজের ক্যাপশনেও সঠিক কিওয়ার্ডটি বসাবেন।

১০। অনপেজ লিংক বিল্ডিং

অনপেজ লিংক বিল্ডিং বলতে আপনি আপনার সাইটের অন্যান্য পেজের সাথে একটি নির্দিষ্ট লেখাকে কিভাবে সংযুক্ত করেছেন তা বুঝায়।

ধরুন আপনার ওয়েবসাইটে সর্বমোট ৩০টি পেজ আছে।

সার্চ ইঞ্জিন এই পেজগুলোকে পড়ার জন্য বা স্ক্যান করার জন্য একেকটা পেজে প্রদত্ত লিংক অনুসরণ করে পরবর্তী পেজে পৌছায়।

পরে ঐ পেজটি স্ক্যান করে ঠিক একইভাবে ঐ পেজে যদি কোন লিংক খুঁজে পায় তবে সেই পেজ এর লিংক অনুসরণ করে আর একটি পেজ এ পৌছে যায়।

যদি এমন হয় যে, সার্চ ইঞ্জিন কোন লিংক এর সূত্র ধরে আপনার পেজ এ পৌছালো কিন্তু আপনার পেজে আপনার ওয়েবসাইটের অন্য কোন পেজ লিংক খুঁজে পেলোনা।

তখন কি হবে? সহজ উত্তর, সে আপনার ওয়েবসাইটের অন্য কোন পেজ স্ক্যান না করেই অন্য কোন ওয়েবসাইট স্ক্যান করার জন্য চলে যাবে।

সুতরাং নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন এর জন্য অনপেজ লিংক বিল্ডিং কতটা জরুরী।

অফ পেজ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (Off Page SEO)

(ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় সমূহের মধ্যে আরও একটি কার্যকর পদ্ধতি)


১১। অফ পেজ লিংক বিল্ডিং

অফ পেজ লিংক বিল্ডিং একটি বিস্তৃত ও জটিল বিষয়। তবে বুঝার সুবিধার্থে আমি এখানে ছোট্ট একটি তথ্য দিচ্ছি।

ধরুন আপনি একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করেছেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি এমন এক জায়গায় যেখানে সহজে লোক সমাগম হয় না।

তবে আপনার ব্যবসার প্রসারের জন্য আপনি কি করবেন?

প্রচার, প্রচারণা, মাইকিং, পোস্টার, ব্যানার, লিফলেট, অনলাইনে-অফলাইনে বিজ্ঞাপন, প্রয়োজনে পত্রিকা বা টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন দেবেন।

কত কিছুই না করবেন, সবই আপনার ব্যবসার প্রচার, প্রসারের জন্য।

ওয়েবসাইটের অফ পেজ লিংক বিল্ডিং বলতে ঠিক এ বিষয়টিকেই বোঝায়।

অর্থাৎ আপনার ওয়েবসাইটের গণ্ডির বাইরে গিয়ে অন্য কোন ওয়েবসাইট বা মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের বিজ্ঞাপন দিয়ে বা অন্য কোন পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনার ওয়েবসাইটের প্রতি দর্শকদের আগ্রহ তৈরি করার একটি প্রচেষ্টা বা উদ্যোগ।

অফপেজ লিংক বিল্ডিং এর জন্য ব্যবহৃত জনপ্রিয় কিছু পদ্ধতিসমূহ

১। সোস্যাল মিডিয়া (যেমন- ফেসবুক, টুইটার, পিন্টারেস্ট প্রভৃতি) সাইটে কন্টেন্ট শেয়ারিং।
২। বিভিন্ন ব্লগ বা ওয়েবসাইটে কমেন্ট করে ব্যাকলিংক তৈরি করা।
৩। বিভিন্ন ফোরামে (যেমন- কোরা, বিষ্ময়.কম) লেখালেখি করে ব্যাকলিংক তৈরি করা।
৪। ডাইরেক্টরি সাবমিশন (যেযন- ইয়োলো পেজেস.কম) করে ব্যাকলিংক তৈরি করা।
৫। ডাইরেক্ট অ্যাডভার্টাইজিং (যেমন- গুগল এডওয়ার্ড, ফেসবুক এডস, টুইটার এডস, ইত্যাদি)।
৬। ইমেইল মার্কেটিং।
৭। ডিজিটাল মার্কেটিং, প্রভৃতি।

ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় সমূহ সম্পর্কিত “এসইও (SEO) করে ভিজিটর বৃদ্ধি করার ১১টি প্রধান কৌশল” বিষয়ক লেখাটি আজ আমরা এখানেই শেষ করছি। কারো কোনো প্রশ্ন থাকলে নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করতে ভুলবেন না যেন। লেখাটি পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার পছন্দনীয় মাধ্যমে শেয়ার করে আমাদের অনুপ্রাণিত করবেন।

Share this

Leave a Comment