মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়

ঘরে বসে আয় করার উপায় খুঁজছেন? আপনি একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। শুধু আপনি নন! প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ঘরে বসে আয়ের সুযোগ খুঁজছেন। আমরা আজ তেমনি মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার কিছু উপায় নিয়ে হাজির হয়েছি।

ইন্টারনেট নির্ভর এই যুগে ঘরে বসে আয় করার অসংখ্য উপায় পাওয়া যাবে। মেয়েদের জন্যও তার ব্যাতিক্রম নেই। রিমোট জবের সন্ধানে এখন মেয়েরাও পিছিয়ে নেই। এমন কি ফ্রিল্যান্সিং করে ঘরে বসেই আয় করছেন অনেক নারী। যদি ডিজিটাল টেকনোলজির সাথে এটকু খাপ খাইয়ে নেয়া সম্ভব হয় তবে মেয়েদের ঘরে বসে আয় করা অসম্ভব কিছু নয়।

তবে টেকনোলজি জ্ঞানের পাশাপাশি বেশ কিছু সফ্ট স্কিল ও স্ট্র্যাটিজি আছে যেগুলো না জানলেই নয়। আমি এমনই কিছু প্রসেস বলব যেসব ফলো করলে মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় সহজভাবে বুঝতে পারবেন।

মেয়েদের জন্য অনলাইন জব কেন প্রয়োজন?

কারো প্রয়োজন নিয়মিত কাজের পাশাপাশি বাড়তি ইনকাম। কেউ চাচ্ছে ফুল টাইম অনলাইন জব। যত দিন যাচ্ছে অনলাইনে ইনকামের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ছেই। তেমনি, দিন দিন মেয়েরাও ঝুঁকছে অনলাইন জবের দিকে। এর কারন পরিবেশ ও পরিস্থিতি।

আপনি হয়ত গৃহিণী, স্টুডেন্ট অথবা ঘরে বসেই ফ্রী টাইম কাজে লাগাতে ইচ্ছুক। অফিসের লোকেশন জনিত সমস্যা, পড়াশোনা কিংবা ঘর সামলানোর মত কাজের কারনেও অনেকে ঘরে বসে আয় করাকে বেশি পছন্দ করেন। আর নিজের কম্ফোর্ট জোনে বসেই যদি ইনকাম করতে পারেন তাহলে ক্ষতি কি?

মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়

অনলাইনে আয় করার অনেক সেক্টর আছে। তার মধ্যে মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার প্রধান উপায় গুলো তুলে ধরা হল –

অনলাইন বিজনেস

বর্তমানে ঘরে বসে আয় করার জন্য অন্যতম প্রসিদ্ধ মাধ্যম হল অনলাইন বিজনেস। মেয়েদের মধ্যে তো অনলাইন বিজনেস আরো বেশি জনপ্রিয়। অনলাইন বিজনেসে মূলত আপনি নিজস্ব প্রডাক্ট বা অন্যান্য প্রডাক্ট খুচরো বা পাইকারীতে বিক্রি করতে পারবেন। কিন্তু প্লাটফর্মটা হবে অনলাইন নির্ভর৷

অর্থাৎ আপনি ফেসবুক, ওয়েবসাইট, ইন্সট্রাগ্রাম, ইউটিউব কিংবা অন্য কোনো ডিজিটাল প্লাটফর্মে নিজের পন্যের প্রচারণা করবেন। ক্রেতাদের কাছে নিজের পন্যের যাবতীয় তথ্য তুলে ধরবেন। আবার অনলাইনেই অর্ডার ও ডেলিভারি নিশ্চিত করবেন

কিভাবে শুরু করবেন অনলাইন বিজনেস?


১. মার্কেট রিসার্চ

অনলাইনে বিজনেস করার সময়ে মানুষ সবচেয়ে বেশি ভুল করে রিসার্চ না করে। আপনি যদি অনলাইন বিজনেস শুরু করতে চান এবং সফল হতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই পণ্য ও বাজার সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা রাখতে হবে। মার্কেটে ক্রেতার পছন্দ, চাহিদা অনুযায়ী পণ্য নিয়ে বিজনেস শুরু করতে হবে।

২. মূলধন নির্ধারণ

অনলাইন হোক কিংবা অফলাইন, বিজনেস করতে মূলধন অবশ্যই দরকার। মার্কেট রিসার্চ করার সময়ে মাথায় রাখতে হবে, যে পণ্য নিয়ে বিজনেস করতে যাচ্ছেন তার জন্য পর্যাপ্ত মূলধন আছে কিনা। সঠিক ধারণা থাকলে কম টাকায় অনলাইন বিজনেস করা ও সফল হওয়া দুটোই সম্ভব।

৩.অনলাইন প্লাটফর্ম তৈরি

অফলাইনে বিজনেস করার সময়ে আমাদের যেমন একটি দোকান প্রয়োজন হয়। তেমনি অনলাইনে বিজনেস এর জন্যও একটি প্লাটফর্ম দরকার হবে। এখানে আপনি আপনার পন্যের প্রচারণা করবেন এবং বিক্রি করবেন। আপনি যেকোনো প্রসিদ্ধ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই অনলাইন বিজনেস করতে পারেন।

৪.পণ্যের সঠিক প্রচারণা

এমন ক্রেতাদের কাছে আপনার পণ্য তুলে ধরবেন যাদের মধ্যে আপনার পণ্যের চাহিদা আছে। অথবা আপনার ক্রেতাদের আগ্রহ অনুযায়ী নতুন নতুন পন্য বাছাই করবেন।

অনলাইন বিজনেস এর সেক্টর

অনলাইন বিজনেস এখন এত বেশি প্রচলিত যে কাপড় থেকে শুরু করে ঘরোয়া খাবার পর্যন্ত অনলাইনে বিক্রি করা সম্ভব। এমন কিছু ডিমান্ডিং সেক্টর হল-

  • কাপড়ের বিজনেস
  • জুয়েলারি
  • দেশি-পন্য
  • হ্যান্ডমেইড জুয়েলারি
  • হ্যান্ডপেইন্ট পন্য
  • অর্গানিক প্রোডাক্ট
  • স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট
  • ইলেকট্রনিকস ডিভাইস
  • কিডস আইটেম
  • হোম মেইড ফুড
  • প্লান্ট নার্সারি
  • মাটির তৈরি পণ্য
  • ফার্নিচার

মেয়েদের অনলাইন বিজনেস এ সফল হবার উপায়

অনলাইন বিজনেস শুরু করার স্বপ্ন অনেকেই দেখে। কিন্তু কমন কিছু ভুল এর কারণে অনলাইন বিজনেসের শুরুতেই ভেঙে পড়ে অনেকে। আপনার সাথে যেন এমনটা না হয়, তাই আপনাকে এমন কিছু পদ্ধতি জানাচ্ছি –

  • বাজার চাহিদা অনুযায়ী পন্য সিলেক্ট করুন
  • আকর্ষণীয় ওয়েব সাইট তৈরি করুন
  • সার্চ ইঞ্জিনের সহায়তায় গ্রাহক কে আকর্ষণ করুন
  • ইমেইল মার্কেটিং এর সহায়তা নিন
  • ডিজিটাল মার্কেটিং এ পারদর্শীতা অর্জন করুন।

ব্লগিং

ঘরে বসে আয় করার একটি জনপ্রিয় উপায় হল ব্লগিং। ব্লগ হল এমন একটি ওয়েবসাইট যেখানে আপনি আপনার ব্যাক্তিগত মতামত অনলাইনে পাবলিশ করতে পারবেন৷ অথবা কোনো নির্দিষ্ট টপিকের ওপর তথ্য কিংবা আপডেট দিতে পারবেন। মূলত ব্লগিং হল আপনার অনলাইন ডায়েরি।

মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় হিসেবে ব্লগিং কিন্তু দারুণ। কারন ব্লগিং করতে আপনার অনেক বেশি কিছুর প্রয়োজন পরবে না। শুধু মাত্র দরকার

  • একটি ডিজিটাল ডিভাইস – কম্পিউটার, স্মার্টফোন, ট্যাব বা ল্যাপটপ কোনো একটা।
  • ইন্টারনেট সংযোগ
  • একটি ব্লগিং ওয়েবসাইট
  • নিয়মিত কোয়ালিটি কন্টেন্ট পাবলিশ

কিভাবে ব্লগিং করে আয় করবেন?

ব্লগিং সাইট থেকে বিভিন্ন ভাবে আয় করা সম্ভব। তার মধ্যে খুব প্রচলিত কিছু উপায় হল-

  • অ্যাফলিয়েট মার্কেটিং
  • নিউজ পোর্টাল
  • ডিরেক্ট পন্য বিক্রি
  • সাবস্ক্রিপশন অপশন
  • অনলাইন কোর্স

ব্লগিং টিপস

  • কন্টেন্ট এর সাথে উপযুক্ত ডোমেইন নেইম বাছাই করুন
  • ভাল মানের হোস্টিং কিনুন
  • কোয়ালিটি কন্টেন্ট পাবলিশ করুন
  • নিয়মিত প্রচারণা করুন

ওয়েব ডেভলপমেন্ট

আপনি যখন নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠান বা আপনার ব্যাক্তিগত ওয়েবসাইট অনলাইনে কোনো এপ্লিকেশন তৈরি করবেন সেটাই হল ওয়েব ডেভলপমেন্ট। মূলত একটি ওয়েবসাইট এর ডিজাইন, এর টেম্পলেট তৈরি এবং এর ম্যানেজমেন্ট, সিস্টেম কন্ট্রোল সবই ওয়েব ডেভলপমেন্ট এর মধ্যে পরে।

ওয়েব ডেভলপমেন্ট করে মেয়েরা ঘরে বসে আয় করতে পারবেন অনেক টাকা। তার জন্য আয়ত্ত করতে হবে কিছু স্কিল-

  • HTML, Java script, CSS, PHP
  • Database
  • যেকোনো একটি বা একাধিক প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ
  • C++, পাইথন, Java
  • GUI (গ্রাফিকাল ইউজার ইন্টারফেস)
  • ওয়ার্ডপ্রেস
  • লারাভেল
  • গিট
  • Ui কিংবা Ux ডিজাইন সফটওয়্যার
  • নিজস্ব Software Company

অ্যাফলিয়েট মার্কেটিং

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল, আপনি নিজের অনলাইন প্লাটফর্মে যেকোনো উপায়ে কোনো পন্যের প্রচারণা করবেন। এবং ক্রেতাকে সেই পন্য কিনতে আগ্রহী করবেন। আর কোনো ক্রেতা যদি আপনার রেফার করা লিংক ফলো করে পন্য কেনে তাহলে ওই কোম্পানির পক্ষ থেকে আপনাকে কমিশন দেয়া হবে।

বর্তমানে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিন্তু অনেক জনপ্রিয়। হাজার হাজার লোক অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে প্রচুর টাকা ইনকাম করছে৷ শুধু অ্যামাজন কেন? দেশি বিদেশি অসংখ্য কোম্পানি, প্লাটফর্ম রয়েছে যেখানে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আপনিও আয় করতে পারবেন৷

রিসেলিং

রিসেলিং কিন্তু সরাসরি কোনো বিজনেস নয়। এখানে আপনি অন্যের পন্য পন্যের প্রচারণা করবেন। এবং আগ্রহী ক্রেতাদের অর্ডার কনফার্ম করবেন। ক্রেতাদের তথ্য আবার ওই প্রতিষ্ঠানের কাছে দিয়ে দিবেন।

ওই প্রতিষ্ঠান ই তখন নিজ দায়িত্বে প্রোডাক্ট ডেলিভারি করবে। অর্থাৎ আপনার কাজ শুধু প্রচারনা ও ইনফরমেশন কালেকশন, ব্যাস। মুলত আপনি একজন মধ্যম এজেন্ট হিসেবে কাজ করবেন। রিসেলিং এর মাধ্যমে অল্প পরিশ্রমেই কিন্তু ঘরে বসে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন।

ডাটা এনট্রি

বাস্তব বা ফিজিক্যাল কোনো তথ্য যখন আপনি কম্পিউটার বা ডিজিটাল ডিভাইস এর মাধ্যমে এন্ট্রি করবেন সেটাই হল ডাটা এনট্রি। ডাটা এনট্রি বলতে গেলে অনলাইনে আয়ের তুলনামূলক সহজ সেক্টর। ডাটা এনট্রি করতে আপনার প্রয়োজন হবে খুব সামান্য কিছু টুল ও স্কিল।

  • একটি ডিজিটাল ডিভাইস
  • ইন্টারনেট সংযোগ
  • বেসিক কম্পিউটার নলেজ
  • মাইক্রোসফট অফিস স্কিল
  • মাইক্রোসফট এক্সেল এর দক্ষতা
  • কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজের স্কিল

ডাটা এনট্রি করে কাজ করার সেক্টরও কিন্তু অনেকটাই বড়। আপনি যেভাবে ডাটা এনট্রি থেকে ইনকাম করতে পারবেন-

  • ট্রান্সলেশন জব
  • Paper documentation
  • Database
  • জব পোস্টিং
  • ডেটাবেস ক্রিয়েশন
  • Data conversation
  • Spelling check
  • তথ্য আপডেট
  • ক্যাপচা ফিলআপ
  • অনলাইন সার্ভে
  • রিসার্চ

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস হল এমন কিছু প্লাটফর্ম যেখানে আপনি আপনার টেকনোলজি ও সফট স্কিল গুলো দিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন। এখানে হাজারো ক্লায়েন্ট থাকে যাদের বিভিন্ন রকম সার্ভিস প্রয়োজন হয়।

বিশেষত ডাটা এনট্রি, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডেভলপমেন্ট, ওয়েব ডিজাইন, প্রোগ্রামিং, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, এপপ ডেভেলপমেন্ট, কন্টেন্ট রাইটিং ও ক্রিয়েটিভ কাজের চাহিদা এখানে বেশি।

তাই আপনি যদি এসব দক্ষতা অর্জন করতে পারেন তাহলে ইন্টারন্যাশনাল মার্কেট গুলোতেও কাজ করতে পারবেন। ফাইবার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার এর মত সাইটে পেয়ে যাবেন অসংখ্য কাজ।

ফেসবুক থেকে আয় করার উপায়

অনলাইনে আয়ের ক্ষেত্রে ফেসবুক এখন খুবই জনপ্রিয় মাধ্যম। ফেসবুকে আপনি অসংখ্য উপায়ে আয় করতে পারবেন।

যেমন-

  • ফেসবুক পেজ থেকে আপনি অনলাইন বিজনেস করতে পারবেন
  • ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করে আয় করতে পারবেন
  • অন্যের পেজ এর প্রোমোশন করে আয় করতে পারবেন
  • ফেসবুক পেইজ সেল করে ইনকাম করতে পারবেন।

ফেসবুক গ্রুপ থেকে ইনকাম

  • আপনার নিজস্ব পণ্য বিক্রি করতে পারবেন।
  • কোর্স বিক্রি
  • মেম্বারদের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া প্রোমোশন
  • অ্যাফলিয়েট মার্কেটিং

ডিরেক্ট প্রোডাক্ট বিক্রি

  • ফেসবুক পেজ বা গ্রুপ থেকে প্রোডাক্ট সেল
  • নিজস্ব প্রোফাইল থেকে অনলাইন বিজনেস
  • অনলাইন কোর্স বিক্রি

ইউটিউব কন্টেন্ট থেকে আয়

ইউটিউব থেকে আয় আজকাল খুবই প্রসিদ্ধ। কারনে এখানে সহজে ইনকাম ও জনপ্রিয়তা দুটোই পাওয়া যায়। ইউটিউব থেকে আয় করতে খুব বেশি কিছু প্রয়োজন ও পড়বে না।

এর জন্য প্রয়োজন হবে-

  • একটি ইমেইল এড্রেস
  • ভেরিফাইড ইউটিউব চ্যানেল
  • মানসম্মত ভিডিও আপলোড
  • পর্যাপ্ত ভিউ ও সাবস্ক্রাইবার
  • চ্যানেল মনিটাইজেশন

ইউটিউবের জন্য যে সকল কন্টেন্ট তৈরি ও প্রকাশ করে আয় করা সম্ভব-

  • ইনফরমেটিভ ভিডিও
  • নিউজ আপডেট
  • ফানি কনটেন্ট
  • টেকনোলজি এডভাইস
  • লাইফ হ্যাকস
  • ক্রাফট আইডিয়া
  • হেল্থ টিপস
  • প্রোডাক্ট রিভিউ
  • ট্রাভেল ব্লগ

ফটোগ্রাফি করে আয়

আপনি কি ছবি তুলতে ভালবাসেন? শখের বসে ছবি তুলেন? আপনার কি ভাল একটি ক্যামেরা আছে? তাহলে কিন্তু ফটোগ্রাফি করেও আয় করতে পারেন। আপনি চাইলে অনলাইনে ফটোগ্রাফির কন্ট্রাক নিতে পারেন৷ সবচেয়ে বেশি ইনকাম করতে পারবেন অনলাইন ছবি বিক্রি করে।

ফটোগ্রাফি করে আয় করার সেরা কিছু সাইট –

  • Istock Photo
  • Shutterstock.com
  • SmugMug
  • Adobe Stock
  • Can stock photo
  • Alamy.com

প্রভৃতি ওয়েবসাইট এ আপনি আপনার ছবি বিক্রি করে ও ছবি আপলোড করে আয় করতে পারবেন।

রিসার্চ ও সার্ভে করে আয়

অনেক ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অনলাইন রিসার্চ ও সার্ভে আয়োজন করে। এগুলোতে অংশগ্রহণ করে আয় করা সম্ভব।
বাংলাদেশ বা ইন্ডিয়া থেকে আয় করা কিছুটা মুশকিল। এজন্য USA বা Uk আইপি নিতে হয়। আপনি চাইলে VPN বা VNS দিয়ে সার্ভের কাজ করতে পারবেন।

সার্ভে করে আয় করার সেরা কিছু সাইট হল –

  • Swagbucks.com
  • Viewpointpanel.com
  • Toluna.com
  • Ysence.com
  • OnePoll
  • Opinionnow.in
  • PrizeRevel
  • Neobux.com

আর্টিকেল রাইটিং করে আয়

লেখালেখি করতে ভালবাসেন? তাহলে অনলাইন বিভিন্ন ওয়েবসাইট এর জন্য লেখালেখি করে আয় করতে পারবেন। আর ইংরেজি লেখায় যদি পারদর্শিতা অর্জন করতে পারেব তাহলে ইন্টারন্যাশনাল প্লাটফর্ম গুলোতেও কাজ করতে পারবেন৷ এছাড়াও রাইটিং এর জন্য বেশ কিছু ওয়ার্কিং সাইট হল-

  • EH-writer
  • Listverse.com
  • Earth island journal
  • Uxbooth.com
  • Cracked.com

ডিজিটালাইজেশন ও কম্পিটিশন এর যুগে অনলাইন আয় এখন খুবই ডিমান্ডিং। আর এই যাত্রায় পিছিয়ে নেই মেয়েরাও। পরিবেশ ও পরিস্থিতি বিবেচনায় অনলাইন জবের দিকে আগ্রহ ও বাড়ছে আগের থেকে। তবে অনলাইনে ইনকাম করার উপায় জানা না থাকলে এ ক্ষেত্রে সফল হওয়া খুবই মুশকিল।

তাই মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়গুলো সহজ ভাবে তুলে ধরেছি। আশা করি, এই পথগুলো অনুসরণ করে আপনিও সফল হবেন খুব শীঘ্রই ।

Share this

Leave a Comment