অনলাইনে ইনকাম করার ২১টি নিশ্চিত উপায়

অনলাইনে ইনকাম করার ২১টি নিশ্চিত উপায় (Complete Online Income Guideline 2024) শিরোনামের লেখাটিতে অনলাইনে ইনকাম করার ২১টি কার্যকর পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

অনলাইন থেকে আয় করা ২০২৪ সালে একটি ক্রেজে পরিণত হয়েছে। করোনা মহামারি, লকডাউনে অনেকেরই ইনকামের অফলাইন পথগুলো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। একটি পথ বন্ধ হলে, আরেকটা খুলে যায়, এরকম একটা কথা সমাজে বহুদিন থেকেই প্রচলিত। কথাটি কিছুটা সত্যও বটে।

করোনা মহামারি অফলাইনে আয়ের পথগুলো রুদ্ধ করেছিল -এই চরম বাস্তবতায় তরুন প্রজন্ম বিকল্প আয়ের পথ খুঁজেছে। এক্ষেত্রে অনলাইনে ইনকাম করার পদ্ধতি বা অনলাইনে আয় করার উপায় সমূহ নতুন ও শক্তিশালী সম্ভাবনা তৈরি করেছে।

করোনা পরবর্তী সময়ে যে মানুষগুলো ঘরবন্দী ছিল তারা যেমন অনলাইনমুখী হয়েছে, তেমনি বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও নিজেদের অনলাইন উপস্থিতি তৈরীতে ব্যস্ত হয়ে পরেছইল। এই নতুন চাহিদা সামাল দিতে অনলাইনের বিভিন্ন কাজের জন্য বিপুল জনশক্তির প্রয়োজন।

এই লেখাটি মূলতঃ যারা অনলাইন থেকে দীর্ঘমেয়াদী ও সিরিয়াসলি আয়ের পরিকল্পনা করছেন, তাদেরকে উদ্দেশ্য করে তৈরি করা। বর্তমানে, এজাতীয় বিভিন্ন বিজ্ঞাপন সামাজিক গণমাধ্যম দেখা যায় যে, ‘অমুক সার্ভ্যেতে অংশ নিয়ে, তমুক সাইটে পাঁচ মিনিট এটা-ওটায় ক্লিক করে টাকা ইনকাম করুন’।

এগুলো কোন ধরণের কাজের পর্যায়েই পড়ে না। এবং, যারা এসবে সময় নষ্ট করবেন তারা একজন প্রকৃত অনলাইন উদ্যোক্তা অথবা একজন ফ্রিল্যান্সার বলতে যা বোঝায় সেগুলোর কোনটাই হতে পারবেন না।

সূচীপত্র-

  1. ব্লগ তৈরি করে অনলাইনে আয়
  2. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইনে আয়
  3. ই-কমার্স সাইট তৈরি করে অনলাইনে আয় করার উপায়
  4. অনলাইন কোর্স তৈরী করে অনলাইনে ইনকাম করার উপায়
  5. বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইটে কাজ করে অনলাইনে ইনকাম করার পদ্ধতি
  6. ইউটিউব থেকে আয় করার উপায়
  7. ফেসবুক থেকে অনলাইনে ইনকাম
  8. লেখালেখি করে ইনকাম করার উপায়
  9. প্রোগ্রামিং করে অনলাইনে ইনকাম করার উপায়
  10. সফটওয়্যার বা অ্যাপ নির্মাণ ও বিক্রয় করে অনলাইনে আয়
  11. গেম ডেভেলপমেন্ট করে অনলাইনে ইনকাম করার উপায়
  12. ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করে অনলাইনে ইনকাম করার পদ্ধতি
  13. গ্রাফিক্স ডিজাইনিং করে অনলাইনে আয় করার উপায়
  14. ই-বুক প্রকাশ করে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার উপায়
  15. ইমেইল মার্কেটিং করে অনলাইনে আয় করার উপায়
  16. নিজের ওয়েবসাইট বিক্রী করে অনলাইনে আয় করার উপায়
  17. ওয়েবসাইট কেনা-বেচা করে অনলাইনে ইনকাম করার উপায়
  18. ডোমেইন নাম কেনা বেচা করে অনলাইনে আয় করার পদ্ধতি
  19. স্টক ফটো এবং ফুটেজ বিক্রী করে অনলাইনে ইনকাম করার উপায়
  20. ওয়েব ডিজাইনিং করে অনলাইনে আয় করার পদ্ধতি
  21. ডিজিটাল মার্কেটিং করে অনলাইনে আয় করার পদ্ধতি

২০২৪ সালে অনলাইন থেকে আয়ের ২১টি নিশ্চিত উপায় এখানে আলোচনা করা হল-

Table of Contents

#১ ব্লগ তৈরি করে অনলাইনে আয় করার উপায়


ব্লগ কি?

ব্লগ, সোজা কথায়, অনলাইন দিনলিপি। ব্লগ আর ওয়েবসাইট, সমার্থক ভাবে ব্যবহার করে থাকি আমরা। তবে সামান্য পার্থক্য আছে দুটোতে। ওয়েবসাইটের অস্তিত্ব শুধুমাত্র কোন প্রতিষ্ঠানের অনলাইন উপস্থিতি বজায় রাখার জন্য হতে পারে। অর্থাৎ, সরাসরি বিজ্ঞাপমূলক একটি বিষয় হতে পারে ওয়েবসাইট। কিন্তু ব্লগ কখনই সরাসরি বিজ্ঞাপনমূলক হয় না। সে স্বাধীন পূর্ণাঙ্গ উপস্থিতি। ব্লগের জন্য বিজ্ঞাপন একটি সেকেন্ডারী বিষয়।

আবার, অনলাইন রেজিস্ট্রেশানের ওয়েবসাইটের কথা ভাবুন। এখানে শুধু নির্দিষ্ট একটি কাজের জন্য যায় মানুষ। কিন্তু, ব্লগে মানুষ এমনিই ঘুরতে যেতে পারে।

ব্লগে কোন নির্দিষ্ট বিষয় (ব্লগের নিশ) নিয়ে মানুষকে সাহায্য করার চেষ্টা করা হয়। একজন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান, যে কেউই তাদের এজেন্ডার সার্থে ব্লগ নির্মাণ করতে পারেন। ব্লগ সাধারণতঃ টেক্সট ভিত্তিক। মানে লেখালেখিই বেশী থাকে। তবে ছবি আর ভিডিও নিয়েও ব্লগ হয়।

ব্লগের লেখা বা পোস্টগুলি সাধারণতঃ একটি নির্দিষ্ট বিষয়কে ঘিরে আবর্তিত হয়। একে বলা হয় ‘নিশে’। প্রতিটি পোস্ট ব্লগের কন্টেন্ট। এই কন্টেন্টকে ম্যানেজ করার জন্য একটি সিস্টেম বা সিএমএসের প্রয়োজন হয়। ‘ব্লগার’ , ‘ওয়ার্ডপ্রেস’, এগুলো সিএমসের উদাহরণ।

ব্লগ থেকে কত টাকা আয় করা যায়?

২০২৪ সালে অনলাইন থেকে ইনকামের একটি অন্যতম উপায় ব্লগ অবশ্যই হতে পারে। অনেকেই বলেন, লেখালেখি নির্ভর মাধ্যমগুলো থেকে বিমুখ হয়ে গেছেন বর্তমানের মানুষ। এখনকার লোক ভিডিও-ই বেশী দেখে। এটি সত্য বটে। ভিজুয়াল মিডিয়া হিসেবে ভিডিওর জনপ্রিয়তা থাকবেই। কিন্তু যারাই কোন জিনিস ভালমতো শিখতে চান, তারা ভিডিও টিউটোরিয়ালের পাশপাশি অবশ্যই টেক্সট পড়েন।

ম্যাশেবেল, টেকক্রাঞ্চ, ময, হাফিংটন পোস্ট এগুলো পৃথিবীর সর্বোচ্চ ইনকাম করা ব্লগগুলোর কয়েকটি। এদের আয় বছরে পঁচিশ মিলিয়ান ডলারের বেশী ছাড়িয়ে যায়। এরা বিশ্বখ্যাত এবং অনেক বড় ব্লগার। নিজেদের ব্লগগুলোর পেছনে তার সময়, শ্রম ও অর্থ সব দিয়েছেন।

বড় ব্লগারদের আয় থেকে ছোট ব্লগারদের আয়ের একটি ধারণা করা সম্ভব। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একজন পার্টটাইম ব্লগার তার ব্লগ থেকে ২০-৩০০০০ টাকা মাসে ইনকামের কথা ভাবতে পারেন। আপনার আশেপাশেই এমন অনেকজনকে পাবেন। ফুল টাইম ব্লগাররা আরও বেশী ইনকাম করেন। তবে ব্লগকে এই অবস্থায় নেয়ার জন্য কমপক্ষে এক থেকে দেড় বছর প্রতিদিন ব্লগের পেছনে সময় দিতে হবে।

ব্লগ থেকে কিভাবে ব্লগাররা অনলাইনে টাকা ইনকাম করেন?

ব্লগিং থেকে আয়কে অনলাইন আয়ের একটি ক্লাসিকাল পদ্ধতি বলা যায়। ২০২৪ সালে এসে এই ইনকামের ধরণ কিছু তো পাল্টেছেই। বর্তমান সময়ে ব্লগাররা তাদের ব্লগ থেকে যেভাবে অনলাইনে টাকা ইনকাম করেন –

১। বিজ্ঞাপন প্রদর্শন : সাধারণতঃ গুগল এডসেন্সের বিজ্ঞাপন এক্ষেত্রে জনপ্রিয়। বাংলা, ইংলিশ দুই ধরণের ব্লগেই গুগলের এডসেন্স পাওয়া যায়। স্বাভাবিকভাবেই বাংলা ব্লগের ক্ষেত্রে একটু বেশী সময় লাগে। (কারণ বাংলা একটি ব্লগকে যাচাই করার মত যথেষ্ট বুদ্ধিমান গুগলের রোবটগুলোকে এখনও হয়ে উঠতে পারেনি।)

গুগলের এডসেন্স ছাড়াও, কেউ চাইলে নিজের পরিচিত ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দেখিয়েও ইনকাম করতে পারেন। যেমন , আপনার হয়তো একটি সাহিত্য বিষয়ক ব্লগ আছে। আপনি নিজেই গল্প কবিতা লেখেন। প্রতিদিন সেখানে ভিজিটর আসে। এক্ষেত্রে আপনি অন্য কোন সাহিত্য পত্রিকা বা কোন লেখকের বইয়ের বিজ্ঞাপন আপনার ব্লগে করতে পারেন।

২। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং : অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আরেকটি চমৎকার উপায়। ব্লগারদের মাঝে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিঙের জনপ্রিয়তা লক্ষ্য করা যায়। আপনি যে বিষয়ে ব্লগ বানিয়েছেন, সেই বিষয়ক অন্য পক্ষের বিক্রয়যোগ্য কোন পণ্যকে আপনার ব্লগের লেখালেখির মাধ্যমে বিক্রী করাটাই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।

আপনি হয়তো মোবাইল ফোন ভালোবাসেন। বিভিন্ন ফোন ব্যবহার করে সেগুলি নিয়ে রিভিউ লিখে রাখেন ‌আপনার ব্লগে। এরকমই কোন একটি পোস্টের নীচে আপনি সেই মোবাইলটি কেনা যায়, এরকম একটি ই-কমার্স সাইটের লিংকও দিয়ে দিলেন। এখানে, অগে থেকেই আপনার সেই ই-কমার্স সাইটের সাথে চুক্তি করা আছে যে, আমি যদি আমার সাইট থেকে তোমার মোবাইল বিক্রী করে দেই তুমি আমাকে এত পার্সেন্ট লাভ দিবা। এটাই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।

৩। নিজের পণ্য বিক্রী করুন : আপনার ব্লগের বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট পণ্য বিক্রী করতে পারেন। আপনার ব্লগে হয়তো বাণিজ্যিক বিষয়ই নেই কোন। আপনি ব্লগে কবিতা লিখেন। কিন্তু সেই কবিতার একটা পাঠকসমাজ হয়তো আছে। আপনি তাহলে কবিতার লাইন দিয়ে টিশার্ট বা মগ বানিয়ে বিক্রী করতে পারেন। প্রথমে অল্প করে বানান। এক্সপেরিমেন্টে সফল হলে আরও টিশার্ট, মগ তৈরী করুন।

ব্লগিং একটি সৃজনশীল কাজ। এর থেকে আয়ের জন্যও উদ্ভাবনী শক্তিকে ব্যবহার করুন।

ব্লগ থেকে আয় করার জন্য কি প্রয়োজন?

ব্লগ থেকে যে উপায়েই আপনি আয় করতে চান না কেন, আপনার প্রয়োজন বিপুল সংখ্যক ভিজিটর। ভিজিটর ব্লগে নিয়মিত আসতে হবে। এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় আসতে হবে। তা ব্যাতীত, আপনার ব্লগ থেকে কোন ইনকামই সম্ভব নয়। সাধারণতঃ মাসে ১০০,০০০ মোট পেজভিউ পেলে ব্লগ থেকে পূর্ণকালীন ইনকাম করা সম্ভব বলে ধারণা করা হয়। অন্যদিকে দৈনিক ১০০০ এর কম পেজভিউ পাচ্ছে, এমন একটি ব্লগ থেকে ইনকাম করাটাই কঠিন। সুতরাং, বেশী ভিজিটরই ব্লগ থেকে অনলাইনে টাকা ইনকাম এর মূলকথা।

ভিজিটর পাওয়ার জন্য আপনার কয়েকটি মূল জিনিস লাগবেই –

১। কন্টেন্টের মান ও পরিমাণ : ব্লগ থেকে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার জন্য আপনাকে ভালো কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে। এই কন্টেন্টের জন্যই মানুষ ব্লগে আসবে। আপনার লেখা, ভিডিও, ছবি সবটাই ব্লগের কন্টেন্ট। ভাল কন্টেন্ট না থাকলে দ্বীতিয় বার কেউই আপনার সাইটে আসতে চাইবে না।

কন্টেন্ট ভালো হওয়ার সাথে সাথে, পরিমাণেও বেশী হতে হবে। ইন্টারনাল লিংকিং-এর মাধ্যমে আপনি ভিজিটরকে বেশীক্ষণ আপনার সাইটে ধরে রাখতে পারবেন তখন। তার ফলে আপনার সাইটে, ভিজিটরের কাটানো সময়ের পরিমাণ এবং আপনার মোট পেজভিউ দুটোই বাড়বে।

২। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশান : সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশান বা এসইও অর্থ, গুগল বা অন্য সার্চ ইঞ্জিনগুলোর সার্চ-রেজাল্টে, আপনার সাইটের উপস্থিতিকে উন্নত করা।

মানুষ যা লিখে গুগলে সার্চ করে সেগুলিকে বলে কি-ওয়ার্ড। যেমন আপনি হয়তো মাইক্রোসফটের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান নিয়ে একটি ব্লগ বানিয়েছেন। এক্ষেত্রে, মাইক্রোসফট, মাইক্রোসফটের সমস্যা, এগুলো আপনার কি-ওয়ার্ড। সঠিক ভাবে এস-ই-ও করা থাকলে, এই কি-ওয়ার্ড গুলো লিখে গুগলের সার্চ করলেই, প্রথম পাতায় আপনার ব্লগের লিংক দেখাবে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই আপনি ভিজিটর বেশী পাবেন।

ব্লগে অর্গানিক ভিজিটর নিয়ে আসার জন্য এসইও’র কোন বিকল্প নেই। একজন সফল ব্লগার হওয়ার জন্য আপনাকে এসইও বুঝতেই হবে।

৩। বিজ্ঞাপন : ব্লগের খবর বেশী লোককে দেয়ার জন্য বিজ্ঞাপন করা একটি ভালো পদ্ধতি। ফেসবুক এড এক্ষেত্রে জনপ্রিয়। তাছাড়া গুগলেও অ্যাড দিতে পারেন। সরাসরি বিজ্ঞাপন ছাড়াও অন্যদের ব্লগের গেস্ট-পোস্টিং, কমেন্ট করার মাধ্যমে নিজের ব্লগের প্রচারণা করতে পারেন।

#২ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইনে আয় করার উপায়

অনলাইনে থেকে ২০২৪ সালে ইনকামের একটি প্রমাণিত উপায় হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। একজন আ্যাফিলিয়েট মার্কেটার কোন একটি পণ্য বা সেবা কেনার জন্য ভিজিটরকে বলেন। অথবা সেই পণ্যটি ব্যবহারের অভিজ্ঞতা মানুষকে জানান। এই কাজটি তিনি আর্টিকেল লিখে, ভিডিও বানিয়ে অনেক ভাবেই করতে পারেন। কন্টেন্টের ভেতরে পণ্যটি কেনার একটি লিংক দেয়া থাকে। লিংক ব্যবহার করে কেউ পণ্য কিনলেই বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আপনি কমিশান পাবেন।

কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়?

  • নিশে বা বিষয় নির্ধারণ করুন : আপনি কোন ধরণের পণ্য নিয়ে কাজ করতে চান সেটি ঠিক করুন। যে বিষয় আপনি আগ্রহ পান, যে বিষয়ে আপনি কন্টেন্ট তৈরী করতে পারবেন এবং দীর্ঘ সময় লেগে থাকতে পারবেন, সেরকম কিছুই আপনার নিশে হিসেবে বেছে নিন।
  • ব্লগ, ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানলে খুলুন : অ্যাফিলিয়েট লিংক ব্যবহার করার জন্য আপনার একটি প্লাটফর্ম লাগবে। কি ধরণের কন্টেন্ট আপনি তৈরী করতে যাচ্ছেন তার ওপর ভিত্তি করে ব্লগ, ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেল যেকোন একটিকে বেছে নিন।
  • কন্টেন্ট তৈরী করুন : আপনি লেখালেখি বা ভিডিও কন্টেন্ট দুই ভাবেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। রিভিউমূলক আর্টিকেল বা ভিডিও একটি জনপ্রিয় উপায়। অর্থাৎ যেখানে কন্টেন্ট ক্রিয়েটার তার পণ্য ব্যবহারের অভিজ্ঞতাটি মানুষের কাছে বর্ণণা করেন। অনেক অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার টিউটোরিয়াল তৈরী করেন থাকেন। এখানে ভিডিও বা লেখার মাধ্যমে মানুষকে কোন বিষয়ে শেখানো হয়। এর ভেতরেই প্রাসঙ্গিকভাবে আপনি অ্যাফিলিয়েট প্রোডাক্টকে উল্লেখ করতে পারেন। অ্যাফিলিয়েট কন্টেন্ট তৈরীর ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে, আপনার বর্ণণা যেন সৎ ও নির্মোহ হয়। কোন অত্যুক্তি, বা অতিশায়িত কথাবার্তাওয়ালা আর্টিকেল বা ভিডিও, ভিজিটরদের মনে বিরূপ প্রভাব ফেলবে।
  • অ্যাফিলিয়েট লিংক জেনারেট করুন : কন্টেন্ট তৈরীর পরে, আপনাকে অ্যাফিলিয়েট লিংক যোগাঢ় করতে হবে। মূলতঃ অ্যামাজন, শপিফাই এসব জনপ্রিয় সাইটকেই বেছে নেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটাররা। কিন্তু এসব বাদেও অন্য় অসংখ্য প্রতিষ্ঠানে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম আছে। তাদের লিংকও ব্যবহার করতে পারেন। সাধারণতঃ, প্রযুক্তি পণ্য যেমন সফটওয়্যার, অ্যাপস এগুলো নিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করলে সবচেয়ে বেশী কমিশান পাওয়া যায়।
  • সাইটে ভিজিটর বাড়ান : অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে লাভবান হতে হলে, আপনার প্রচুর ভিজিটর প্রয়োজন। ভিজিটর বেশী মানে, লিংকে ক্লিক হওয়ার সম্ভাবনাও বেশী। সুতরাং সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশানের কৌশলগুলো ব্যবহার করে সাইটে ভিজিটর বৃদ্ধি করুন।

#৩ ই-কমার্স সাইট তৈরি করে অনলাইনে আয় করার উপায়

করোনা মহামারি এবং লকডাউন আমাদের ব্যবসা বাণিজ্যকে অনেক পাল্টে দিয়েছে। ব্যবসা বাণিজ্যের অনলাইন মডেলটিতে আগে যারা স্বচ্ছন্দ ছিলেন না, সেই ক্রেতারাও এখন কেনাকাটায় ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছেন। যেকারণ, অনলাইনে ইনকাম করার উপায় ২০২৪ সালে যতগুলো রয়েছে, তার মধ্যে ই-কমার্স সাইট নির্মাণকে প্রথমদিকেই রাখতে হয়।

যেসব ব্যবসায়ী ভাবছিলেন, দোকান করবেন বা পণ্যের শো-রুম বানাবেন, তারা এখন ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরী করে সেই স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন। ক্রেতাদের বিভিন্ন ই-কমার্স সাইট এখন অত্যান্ত জনপ্রিয়। ‘ওয়ার্ডপ্রেস’ বা ‘WooCommerce’ এর মত প্লাটফর্ম ব্যবহার করে আপনি সহজেই একটি ইকমার্স সাইট বানিয়ে নিতে পারেন।

সাধারণতঃ দুই ভাবে আপনি একটি অনলাইন সাইট পরিচালনা করতে পারেন :

১। নিজস্ব পণ্য বিক্রী করা : এক্ষেত্রে আপনাকে কোন কম প্রতিযোগিতা সম্পন্ন নিশেকে টার্গেট করে পণ্য বানাতে হবে। নির্দিষ্ট একদল ক্রেতার কাছেই শুধু আপনি এই পণ্য বিক্রী করতে পারবেন।

২। বিদেশী জনপ্রিয় পণ্য কম দামে (বা পাইকারীতে) কিনে এনে, রিপ্যাকেজিং করে, সেগুলি কিছু বেশী দামে বিক্রী করুন।

সফল ই-কমার্স সাইট তৈরীর ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা প্রয়োজন

  • আপনার সাইটের ডিজাইনটি সরল করুন। পণ্য দেখা এবং কেনার কাজটি ক্রেতার জন্য যথাসম্ভব সহজ করে দিন।
  • আপনার ব্র্যান্ডিংকে গুরুত্ব দিন। যিনি একবার কিছু কিনবেন, তিনি যেন দ্বীতিয়বারও ফিরে আসেন।
  • আপনি নিজে এই সাইটের একজন ক্রেতা বা ভিজিটর হলে কি কি প্রত্যাশা রাখতেন সেটি ভাবুন।
  • উন্নতমানে এবং স্পষ্ট ছবি ব্যবহার করুন।
  • সাইটের সামগ্রিক চেহারায় পেশাদারিত্বের প্রকাশ যেন ঘটে।
  • আপনার সাইট থেকে পণ্য কিনেছেন যারা, তাদের ইতিবাচক রিভিউ সাইটে সংগ্রহ করুন।

#৪ অনলাইন কোর্স তৈরি করে অনলাইনে ইনকাম করার উপায়

অনলাইন কোর্স বরাবরই ইন্টারনেট থেকে ইনকামের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। তবে ২০২৪ সালের বাস্তবতায় এর গুরুত্ব এখন আরও বেশী। করোনাকালীন সময়ে শিক্ষাব্যবস্থা সম্পূর্ণ অনলাইন নির্ভর হয়ে গিয়েছে। অনলাইনে ডিজিটালি শিক্ষাগ্রহণ এখন একটি স্বাভাবিক বিষয় সবার কাছে।

একটি অনলাইন কোর্স তৈরী করে, আপনিও অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারেন। হয়ে উঠতে পারেন একজন জনপ্রিয় অনলাইন প্রশিক্ষক বা মেন্টর। আমাদের দেশে বর্তমানে তিন ধরণের অনলাইন কোর্সের চাহিদা লক্ষ্য করা যায়

  • বিভিন্ন পরীক্ষা যেমন – বিসিএস, অন্যান্য চাকরী পরীক্ষা, ডাক্তারদের পোস্ট গ্র্যাজুয়েশান ভর্তি পরীক্ষা ইত্যাদির প্রস্তুতিমূলক কোর্স। আট মাসের কোর্স থেকে শুরু করে, পরীক্ষার একদম আগে, দেড় মাসের ক্র্যাশ কোর্স- সবটারই যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে।
  • কোন স্কিল শেখানোর কোর্স – বিভিন্ন দক্ষতা যেমন , কোডিং, ওয়েব ডেভেলপিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ইত্যাদি শর্ট ও লং কোর্স পাওয়া যায় অনলাইনে। যেহেতু এসব স্কিল শিখে মানুষ ফ্রিল্যান্সিং করে উপার্জন করতে পারেন, তাই এসব কোর্সের যথেষ্ট চাহিদা।
  • ইংরেজি শিক্ষার কোর্স – ইংরেজির বিদ্যা একটি স্কিলের মধ্যেই পড়ে। তবে ইংরেজি শিক্ষা একটি বিশদ ক্ষেত্র হওয়ায় আলাদা করে উল্লেখ করা হল। স্পোকেন ইংলিশ, বিদেশ যাওয়ার ইংলিশ, বিভিন্ন পরীক্ষার জন্য ইংলিশ, ইংলিশে লেখা – প্রতিটিই পৃথক বিষয়। প্রতিটির জন্যই আলাদা কোর্স রয়েছে অনলাইন বাজারে।

কিভাবে অনলাইন কোর্স করাবেন?

একটি অনলাইন কোর্স তৈরী করতে আপনার প্রয়োজন : একটি ক্যামেরা, ইন্টারনেট সংযোগ এবং কোর্সের বিষয়টি সমন্ধে পূর্ণাঙ্গ ধারণা থাকা। কোর্সের বিষয়টি অফলাইনে মানুষকে শেখানোর অভিজ্ঞতা থাকলে তো আরও ভালো হয়।

সাধারণতঃ তিনটি উপায়ে অনলাইন কোর্স দিয়ে থাকেন প্রশিক্ষকগণ :

১। ওয়েবসাইট : একটি ওয়েবসাইট তৈরী করে আপনার কোর্সটি সরাসরি বিক্রী করতে পারেন। বাংলাভাষায় মান সম্মত কোর্সের সংখ্যা এখনও অনেক কম। সুতরাং, এই ধরণের ওয়েবসাইট যথেষ্ট সম্ভাবনাময়।

২। ইউটিউব : ইউটিউবে পুরো কোর্সটাকেই ফ্রি আপলোড করে দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে ইউটিউবের অ্যাড হবে আপনার আয়ের উৎস। আবার ইউটিউবের ভিডিওগুলোর উদ্দেশ্য হতে পারে আপনার মূল কোর্সের বিজ্ঞাপন।

৩। ফেসবুক : ফেসবুকে অনলাইন কোর্স দেয়া বর্তমান সময়ে অত্যান্ত জনপ্রিয়তা পেয়েছে আমাদের দেশে। কোর্স প্রদানকারী এবং কোর্স গ্রহণকারী দু’পক্ষের জন্যই এটি সুবিধাজনক। কোর্সদাতা প্রথমে একটি পাবলিক গ্রুপ তৈরী করবেন। পাবলিক গ্রুপ থেকে আগ্রহী মেম্বারদের নিয়ে ক্লোজড গ্রুপ তৈরী হবে। ক্লোজড গ্রুপে লাইভ সেশানের মাধ্যমে কোর্সের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। বিকাশ বা অন্য মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করে ক্লোজড গ্রুপের মেম্বার করা হয়।

#৫ বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইটে কাজ করে অনলাইনে ইনকাম করার উপায়

ফাইভার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ইত্যাদি ফ্রিল্যান্সিং সাইট এ কাজ করে ইনকাম করা সম্ভব। এসব ফ্রিল্যান্সিং সাইট থেকে ইনকামের জন্য আপনার কোন একটি দক্ষতা থাকা আবশ্যক। কোডিং, ওয়েব ডিজাইনিং, গ্রাফিক্স ডিজাইনিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজিং, কন্টেন্ট লেখা, সিভি লেখা, অনুবাদ ইত্যাদি বিভিন্ন কাজ করে ফ্রিল্যান্সিং সাইট থেকে ইনকাম করা যায়। আপনাকে জানতে হবে, আপনি কোন কাজটি ভালো পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলো একেকটি একেকরকম বটে। কিন্তু, প্রতিটিরই কিছু সাধারণ বিষয় আছে। সেগুলো মেনে চললেই, আপনি এখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

১। নিজের দক্ষতা বিষয়ে নিশ্চিত হোন : ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে বিভিন্ন স্কিলের তালিকা থাকে। সেখানে থেকে কোনটি আপনি পারেন, তা নিশ্চিত হোন। যে কাজ আপনি পারেন না, তেমন কাজ নিতে যাবেন না। তাহলে প্রথমেই আপনি প্রতারক হিসেবে চিহ্নিত হবেন। যদি দেখেন একটি স্কিলও আপনার নেই, তাহলে কোন একটি স্কিল শিখে নেয়ার চেষ্টা করুন। যেমন, কোডিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, এই ধরণের স্কিল, যেগুলো সময় নিয়ে শিখতে হয়।

২। একাউন্ট তৈরী করুন : ফ্রিল্যান্স সাইটগুলোতে কাজ করতে হলে, প্রথমেই একাউন্ট তৈরী করতে হবে। এক্ষেত্রে, অনেক সময় ইমেইল এড্রেসের পাশাপাশি মোবাইল নম্বরেরও প্রয়োজন হয়।

৩। পেশাদার প্রোফাইল পিকচার ব্যবহার করুন : যেকোন ফ্রিল্যান্সিং সাইটে আপনার প্রোফাইল পিকচারটি হতে হবে পেশাদার। আপনাকে দেখে, ক্লায়েন্টের কাছে একজন ভরসাযোগ্য মানুষ বলে যেন মনে হয়।

৪। আগের কাজের নমুনা সংযুক্ত করুন : আপনি যে কাজ করতে চাচ্ছেন, তার অতীত নমুনাগুলো আপনার প্রোফাইলে যুক্ত করুন। এগুলো দেখে, আপনার সমন্ধে ক্লায়েন্টরা ধারণা পাবেন।

৫। ক্লায়েন্টের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন : কাজ পাওয়ার পরে নিয়মিত ক্লায়েন্টদেরকে কাজের আপডেট জানান। কাজ পাওয়া ছাড়াও, সাইটে অন্যদের সাথে যোগাযোগ বাড়ান। বিভিন্ন ফোরামে অংশগ্রহণ করুন।

৬। প্রথমেই বেশী মজুরি চাবেন না : প্রথম কাজে অস্বাভাবিক বেশী মজুরি দাবী করবেন না। প্রথমদিকে কাজের মানে প্রতি বেশী মনযোগ দিন। ঠিকভাবে কাজ শেষ করে একটি ইতিবাচক রিভিউ পেলে আপনার লাভ বেশী।

#৬ ইউটিউব থেকে আয় করার উপায়

অনলাইন থেকে ২০২৩ সালে যারা আয় করছেন তাদের একটি অংশ বিভিন্ন সফল ইউটিউবারগণ। একটা ক্যামেরা এবং ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই ইউটিউব থেকে আয় করা সম্ভব। তবে ভালো কন্টেন্ট বানানো ছাড়া আয় করতে পারবেন না।

ইউটিউবার গণ সাধারণতঃ তিন ভাবে আয় করে থাকেন :

১। বিজ্ঞাপন প্রদর্শন : ইউটিউবের ভিডিওর শুরুতে বা মাঝখানে চার সেকেন্ড বা পাঁচ সেকেন্ডের বিজ্ঞাপন দেখানো হয়। এই বিজ্ঞাপনগুলো থেকে ইউটিউবারগণ আয় করে থাকেন। এক্ষেত্রে গুগল এডসেন্সের এড প্রোগ্রাম ব্যবহার করেন তারা। গুগল এডসেন্স ব্যবহার করে যদি আয় করতে চান, তাহলে আপনার ইউটিউব চ্যানেলটির কমপক্ষে ৫০০ সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে, এবং ৩০০০ ঘন্টার ( পাবলিক-ওয়াচ-আওয়ার) ভিউ থাকতে হবে।

২। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং : অন্য প্রতিষ্ঠানের পণ্য রিভিউ করে, বা পণ্য ব্যাবহারের সুপারিশ করে ইউটিউবারগণ আয় করে থাকেন। আপনার ভিডিওর ভেতরে প্রাসঙ্গিকভাবে পণ্যটিকে নিয়ে আসুন।

৩। নিজস্ব প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বিক্রি : আপনার কোন সার্ভিস বা পণ্য বিক্রীর উপায় হতে পারে ইউটিউব চ্যানেল। আপনি ধরা যাক একজন চিকিৎসক। সেক্ষেত্রে আপনি স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ দিয়ে বিভিন্ন ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে আপলোড করলেন। মানুষ স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ পাওয়ার পাশাপাশি আপনাকেও চিকিৎসক হিসেবে চিনে নিতে পারল। এভাবে অনলাইন কোর্স, বই, বিভিন্ন ধরণের পণ্য সবই বিক্রী করা সম্ভব।

২০২৪ সালে ইউটিউব থেকে আয় করার নিশ্চিত উপায়

ইউটিউবের সাইটে গিয়ে সাইন-আপ করলেই আপনার একটি একাউন্ট হয়ে যাবে। এরপর আসবে কন্টেন্ট তৈরীর পালা।

ইউটিউব থেকে আয় করার জন্য আপনাকে এই কাজগুলি করতে হবে –

১। এমন কন্টেন্ট বানান যা মানুষের কাজে আসে : ইউটিউবে বিনোদনের জন্য মানুষ অবশ্যই যায়। তবে ভিজিটরদের বড় একটি অংশ যান কিছু একটা শেখার জন্য। সেটি বডিবিল্ডিং থেকে শুরু করে কোয়ান্টাম ফিজিক্স যেকোন কিছু হতে পারে। আপনার ভিডিওতে যে বিষয়ে বলছেন, সেটিকে ধাপে ধাপে ভেঙে গুছিয়ে বর্ণণা করুন। ভিডিও কোয়ালিটি ভাল হওয়া খুবই জরুরী। লো-কোয়ালিটির ভিডিওকে ভিউয়াররা খুব বেশী গুরুত্ব দিবেন না। ভাল কন্টেন্ট বানানো আপনার সাবস্ক্রাইবার পাওয়ার এবং ভিউ বাড়ানোর একমাত্র উপায়।

২। চ্যানেলের প্রচার করুন : ফেসবুকে আপনার চ্যানেলের জন্য পেজ তৈরী করতে পারেন। সেখানে ভিডিওর অংশবিশেষ থাকবে। বাকী অংশ দেখতে হলে চ্যানেলে আসতে হবে। ফেসবুক এড, গুগল এড, গেস্ট ব্লগিং, বিভিন্ন ফোরামে অংশগ্রহণ করেও আপনি চ্যানেলের প্রচার করতে পারেন।

#৭ ফেসবুক থেকে অনলাইনে ইনকাম করার উপায়

বাংলাদেশে ২০২৪ সালে অনলাইন থেকে আয়ের একটি অন্যতম মাধ্যমে পরিণত হয়েছে ফেসবুক। এর কারণ বর্তমানে বিপুল পরিমাণ বাংলাদেশী ফেসবুক ব্যবহার করছেন। ফেসবুকে যে পরিমাণ মানুষকে একসাথে পাবেন, সেটি আর অন্য কোন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে সম্ভব নয়। স্থানীয় পর্যায়ে ব্যবসা করার জন্য ফেসবুক একটি অতুলনীয় মাধ্যম।

ফেসবুক থেকে টাকা আয় করার বিভিন্ন উপায়

১। ফেসবুক পেজ তৈরি করে পণ্য বিক্রী করুন : ফেসবুকে আপনার পণ্যের জন্য পেজ বানান। তারপর সেই পেজে লাইকের সংখ্যা বাড়ান। এবং নিয়মিত পোস্ট করুন। আপনার বন্ধু তালিকার সবাইকে পেজ লাইক করার আমন্ত্রণ জানান। এই মাধ্যমে অনেকেই ব্যবসা করে সফলতাও পেয়েছেন। সাধারণতঃ কাপড়, হস্তশিল্পের পণ্য, ব্যাগ, নোটবুক, বই এসব বিক্রী করা সহজ ফেসবুকের মাধ্যমে।

২। বাড়িতে রান্না করা খাবার বিক্রী : করোনা মহামারির লকডাউনের সময়ে এই বিষয়টি আগের চেয়েও জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আপনি যদি রান্না করতে পছন্দ করেন, এবং ভালো রান্না করেন, তাহলে আপনার বাসায় রান্না করা খাবার ফেসবুকে বিক্রী করতে পারেন। অনেক গৃহিণীই এই পদ্ধতিতে সংসারে বাড়তি ইনকাম যুক্ত করছেন।

ফেসবুকে ভোজন রসিকদের বিভিন্ন গ্রুপ আছে। এসব গ্রুপের মেম্বারদের মাঝে খাবার তৈরী ও বিক্রীর বিষয়টি হয়ে থাকে। যারা এই লাইনে কাজ করতে চান, তারা এসব গ্রুপে যুক্ত হোন ও যোগাযোগ তৈরী করুন।

৩। গ্রুপ থেকে ইনকাম : অনলাইন কোর্সের আলোচনায় বলেছিলাম কিভাবে ক্লোজ গ্রুপ বানিয়ে কোর্স বিক্রী করে আয় করা সম্ভব। এছাড়াও, আপনি যদি লাখ খানিকের বেশী সদস্যের (যারা সক্রিয় সদস্য) একটি ফেসবুক গ্রুপের মালিক হতে পারেন, তাহলে সেখান থেকে আয়ের অনেক ধরণের সম্ভাবনা রয়েছে। এরকম গ্রুপে, নিজেদের প্রচারের জন্য অনেক প্রতিষ্ঠান বা ওয়েবসাইট তাদের লিংক শেয়ার করতে চাইবেন। নির্দিষ্ট সম্মানীর বিনিময়ে আপনি তাদের লিংক শেয়ার করবেন তখন।

৪। ফেসবুক ভিডিও থেকে আয় : ফেসবুকের ভিডিও বানিয়ে এবং সেই ভিডিওর মাঝখানে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ইউটিউবের মতই আয় করা সম্ভব।

৫। ফেসবুক জবস : ফেসবুক জবস-এ অনেক ধরণের কাজের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। ফ্রিল্যান্সিং সাইটের থেকে ফেসবুক জবস থেকে কাজ পাওয়া অধিক সহজ (যদিও ফ্রিল্যান্সিং সাইটের মত কাজের প্রাচুর্য এবং পেমেন্ট নেই)। কারণ এখানে প্রোফাইল, পোর্টফোলিও ইত্যদি নিয়ে আলাদা ঝামেলা করতে হয় না। আপনি পছন্দের কাজ দেখে অ্যাপ্লাই করলেই হল। বিজ্ঞাপনদাতা আপনাকে আপনার ফেসবুক প্রোফাইল দেখেই বিচার করতে পারবেন। কন্টেন্ট রাইটার, সোশাল মিডিয়া ম্যানেজার থেকে ফুল টাইম অফিস জবের বিজ্ঞাপনও ফেসবুকে দেয়া হয়।

#৮ লেখালেখি করে অনলাইনে ইনকাম করার উপায়

যারা লিখতে পারেন তাদের জন্য ২০২৪ সালে অনলাইনে আয় করার উপায় সমূহের মধ্যে একটি অন্যতম পদ্ধতি হতে পারে লেখালেখি। বর্তমানে সমস্ত ব্যবসাই নিজেদের অনলাইন উপস্থিতি তৈরীতে ব্যস্ত। এক্ষেত্রে তাদের ওয়েবসাইট এবং ব্লগগুলোর জন্য প্রচুর লিখিত কন্টেন্টের প্রয়োজন হয়। তাছাড়া মানুষও, তাদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান খোঁজার জন্য অনলাইনে আর্টিকেল পড়ে থাকেন। এই দুই কারণে ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট লিখতে পারেন এমন লেখকদের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে।

অনলাইনে লেখালেখি করে আয় করতে হলে আপনার কয়েকটি গুণ থাকা দরকার :

  • লেখালেখির প্রতি আগ্রহ ও ভালোবাসা : শুধুমাত্র অনলাইনে টাকা ইনকাম করার আগ্রহ থেকে অনলাইন লেখক না হওয়াই ভালো। একমাত্র লেখালেখি পছন্দ করলেই এই কাজে আসবেন। কারণ অনেক সময়ই আপনার একটি লেখাকে দ্বীতিয়বার বা তৃতীয়বারও প্রত্যাখ্যান করে নতুন করে লিখতে বলতে পারেন ক্লায়েন্ট। তাছাড়া লিখতে হবে দ্রুত ও প্রচুর পরিমানে। একজন ব্যস্ত অনলাইন লেখক, দিনে দুই-তিন হাজার শব্দ কি আরও বেশী পরিমাণে লিখে থাকেন। লেখালেখি পছন্দ না করলে, আপনার কাছে কাজটাকে অযথা পরিশ্রমের ও একঘেয়ে মনে হবে।
  • সহজবোধ্য ও সাবলীল লেখনী : বিভিন্ন ওয়েবসাইটের কিওয়ার্ড ভিত্তিক আর্টিকেলগুলোর লক্ষ্য হল সাধারণ মানুষ। এখানে সাহিত্যের জটিল মারপ্যাচের প্রয়োজন নেই। একটি বিষয়কে সহজ ভাবে ও স্পষ্ট করে মানুষকে বুঝিয়ে বলাটা বেশী জরুরী।
  • রিসার্চের পেছনে সময় দিতে হবে : একটি ভাল অনলাইন আর্টিকেলের গুণ হল তথ্য সমৃদ্ধতা। রিসার্চ ছাড়া শুধু নিজের জ্ঞান দিয়ে সেটি অনেক সময়ই সম্ভব হয় না। সুতরাং একজন অনলাইন লেখকে রিসার্চের পেছনে সময় দিতে হবে।
  • এস-ই-ও : আপনার আর্টিকেলটিকে সার্চ-রেজাল্টের প্রথম পাতায় নিয়ে আসার জন্য সার্চ ইঞ্জিনে অপটিমাইজেশানের বিষয়গুলো জানা থাকা জরুরী।

অনলাইনের লেখক হিসেবে আপনি যেসব কাজ পেতে পারেন :

১। ফুল টাইম কন্টেন্ট রাইটার : এক্ষেত্রে সাধারণতঃ অফিস করার মতই সপ্তাহে ছয়দিন প্রতিদিন ছয়-সাত ঘন্টা প্রতিষ্ঠানকে দিতে হবে। এই চাকরীগুলোতে প্রথমদিকে ১৫০০০-২০০০০ এবং পরবর্তীতে ৩৫০০০ টাকা পর্যন্ত বেতন হতে পারে। যেই প্রতিষ্ঠানের জন্য কাজ করবেন, তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী আপনাকে লেখা তৈরী করতে হবে। সৃজনশীল লেখনী প্রতিভা, রিসার্চ এবং এস-ই-ও’র দক্ষতা থাকলে এধরণের চাকরী পাওয়া যায়।

২। ফুলটাইম কপিরাইটার : এখানেও আপনাকে ফুলটাইম কাজ করতে হবে। কন্টেন্ট রাইটিং সরাসরি বিজ্ঞাপনমূলক হয় না। কিন্তু কপিরাইটিং-এ সাধারণতঃ প্রত্যক্ষভাবেই বিজ্ঞাপনের কাজ করতে হয়। এখানে বেতন ৩০০০০-৪০০০০ টাকা মত হয়।

৩। কন্ট্রাক্ট : কন্ট্রাক্ট বা চুক্তিভিত্তিক পার্টটাইম লেখার কাজও পাওয়া যায় প্রচুর। এখানে প্রতি আর্টিকেল ভিত্তিতে আপনাকে টাকা দিবেন নিয়োগদাতা। বিভিন্ন ব্লগ এবং ওয়েবসাইট এভাবে আর্টিকেল সংগ্রহ করে থাকে। সাধারণতঃ বাংলায় প্রতি এক হাজার শব্দের জন্য আপনি (যদি ভালো লেখক হন) ৩৫০-৫০০ টাকার মত পাবেন। তবে প্রতিষ্ঠিত ও সুপরিচিত লেখকরা আরও বেশীও পেতে পারেন।

৪। ব্লগিং : আপনার যদি নিয়মিত লেখালেখির অভ্যাস থাকে, তাহলে নিজেই একটি ব্লগ খুলে ইনকাম করতে পারেন।

#৯ প্রোগ্রামিং করে অনলাইনে ইনকাম করার উপায়

অনলাইন থেকে ইনকাম করার উপায় সমূহের মধ্যে যেকোন তালিকায় প্রোগ্রামিং আসলে এক নম্বরেই থাকা উচিত। কিন্তু প্রোগ্রামিং যথেষ্ট কঠিন বিষয়। নির্দিষ্ট সময় প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা সঞ্চয় ছাড়া একজন প্রোগ্রামার হওয়া অসম্ভব। এবং এসব কারণেই, সবচেয়ে বেশী প্রোগ্রামররাই অনলাইনে টাকা আয় করে থাকেন।

প্রোগ্রামিং কি?

কম্পিউটারকে একটি সুনির্দিষ্ট কাজের জন্য নির্দেশনা লিখে দেয়াই প্রোগ্রামিং। নির্দেশনাটি লিখতে হয় কম্পিউটারের ভাষায় বা কোডে। কম্পিউটারকে বেশ কয়েটি ভাষায় আপনি নির্দেশ দিতে পারেন। যেমন, সি প্লাস প্লাস, জাভাস্ক্রিপ্ট, পাইথন ইত্যাদি।

কিভাবে প্রোগ্রামার হওয়া যায়?

১। আপনার লক্ষ্য ঠিক রাখুন। প্রোগ্রামিং শিখে আপনি কি করতে চান? আপনি কি ওয়েবসাইট বানাবেন? আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স তৈরী করবেন? নাকী ভিডিও গেম নির্মাতা হবেন?
২। আপনার লক্ষ্য অনুযায়ী ডিগ্রী নেয়ার চেষ্টা করুন। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার অবস্থায় নেই, তারা বিভিন্ন অনলাইন কোর্স করতে পারেন। এসব কোর্সেও আপনি কিছু সার্টিফিকেশান অর্জন করবেন। ডিগ্রী বা সার্টিফিকেট গুরুত্বপূর্ণ কারণ, এসব দেখেই ক্লায়েন্ট আপনাকে যাচাই করবেন।
৩। শিক্ষানবিশ প্রোগ্রামার হিসেবে বড় কোন প্রতিষ্ঠানে কিছুদিন কাজ করার চেষ্টা করুন।
৪। সবসময়ই চেষ্টা করবেন সার্টিফিকেট যোগাঢ় করার।
৫। অভিজ্ঞতা বাড়ান।

কিভাবে প্রোগ্রামিং করে অনলাইনে আয় করা যায়?

১। ফ্রিল্যান্সিং: আপওয়ার্ক, ফাইভার, ফ্রিল্যান্সার সহ অন্যান্য ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে কাজ করুন। ছোটখাট কোডিঙের কাজ থেকে শুরু করে, অনেক বড় প্রজেক্টও থাকে এই সাইটগুলোতে।
২। অনলাইন টিউটর : অনেক প্রোগ্রামার অন্যদের প্রোগ্রামিং শিখিয়ে আয় করে থাকেন।
৩। অ্যাপ নির্মাণ : প্রোগ্রামারদের অনলাইনে আয় করার একটি অন্যতম পদ্ধতি হচ্ছে অ্যাপ নির্মাণ। একটি অ্যাপের জনপ্রিয়তা থেকেই বিপুল পরিমাণে আয় করতে পারেন অ্যাপটির নির্মাতা।
৪। ব্লগ: কোডিং এর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ব্লগ লিখতে পারেন। ব্লগে প্রোগ্রামিং সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান নিয়ে আলোচনা করলেন। বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কোড শেয়ার করা যায়। ব্লগের ভিজিটরা এই কোডগুলো কপি-পেস্ট করে তাদের বিভিন্ন কোডিং-সমস্যার সমাধান করতে পারেন।

# ১০ সফটওয়্যার বা অ্যাপ নির্মাণ ও বিক্রয় করে অনলাইনে আয় করার উপায়

যারা প্রোগ্রামিং জানেন তারা অ্যাপ বা সফটওয়্যার নির্মাণ করে খুবই ভাল টাকা উপার্জন করতে পারেন। এই কাজটি ফ্রিল্যান্সিং হিসেবে করা যায়। সেখানে কোন একটি প্রজেক্টের ব্যাপারের আপনি আপনার ক্লায়েন্টের টীমকে সাহায্য করবেন। আবার নিজেই একটি অ্যাপ বা সফটওয়্যার নির্মাণ করেও বিক্রী করতে পারেন।

কোডিং এবং পরবর্তীতে অ্যাপ ডেভেলপমেন্টে যথেষ্ট দক্ষতা অর্জনের পর আপনি বিভিন্ন কনজুমার অ্যাপ্লিকেশান, নিশে ভিত্তিক ওয়েব বা মোবাইল অ্যাপ, এমনকি মোবাইল গেমও তৈরী করতে পারেন। শুধু একটি মাত্র সফটওয়্যারের জনপ্রিয়তা থেকে আস্ত একটি বৃহৎ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠার নজির তো পৃথিবীতে রয়েছেই।

আজকালকার দিনের অধিকাংশ বাজার সফল সফটওয়্যারগুলো বড় বড় কোম্পানীরা বানিয়েছে। তবে গুগল প্লে বা অ্যাপেল স্টোরে গেলেই দেখা যায়, জনপ্রিয় অ্যাপগুলোর বেশ অনেক ক’টাই ব্যাক্তি প্রোগ্রামারদের দুই হাতে গড়া।

যারা অ্যাপ বা সফটওয়্যার বানিয়ে আয় করতে চান তারা এই ভাবে অগ্রসর হতে পারেন :

১। মার্কেট নিয়ে গবেষণা করুন। এই মুহুর্তে কোন ধরণের অ্যাপের চাহিদা ভোক্তাদের মাঝে বেশী সেটি বোঝার চেষ্টা করুন।
২। আপনার সফটওয়্যারটির একটি এমভিপি বা পরীক্ষামূলক সংস্করণ তৈরী করুন।
৩। প্রাথমিক এবং বেটা ইউজারদের প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করুন।
৪। প্রতিক্রিয়ার ভিত্তিতে পরীক্ষামূলক সংস্করণটিকে ঠিকঠাক করে, আপনার অ্যাপের প্রথম সংস্করণটি ছেড়ে দিন বাজারে।
৫। আপনার বাজেট অনুযায়ী একটি বিজ্ঞাপনী ক্যাম্পেইন করুন অ্যাপটির জন্য।

যদি নিজের অ্যাপ তৈরী করে বাজারজাত করাকে অতিরিক্ত ঝামেলা বলে মনে হয়, তাহলে এমনিতে ফ্রিল্যান্সিং করেও প্রচুর আয় করতে পারবেন। আপওয়ার্ক এবং ফ্রিল্যান্সারের মত প্লাটফর্মগুলোতে অনুসন্ধান করলেই অনেক কাজ পাবেন। যদি পর্যাপ্ত যোগ্যতা থাকে, ফ্রিল্যান্সিং ছাড়াও কোন প্রতিষ্ঠানে ফুল-টাইম চাকরী করতে পারবেন।

#১১ গেম ডেভেলপমেন্ট করে অনলাইনে ইনকাম করার উপায়

অনলাইনে ইনকাম করার উপায় সমূহের মধ্যে গেম ডেভেলপমেন্ট অন্যতম একটি পদ্ধতি। এই দক্ষতা যদি আপনার থাকে, তবে আপনার জন্য অনলাইনে ইনকাম করার অনেক পথ খুলে যাবে।

গেম ডেভেলপমেন্ট কি?

গেম ডেভেলপমেন্ট বলতে বোঝায় গেমস ( কম্পিউটার বা মোবাইল গেমস) তৈরীর শিল্প। একটি গেমকে ডিজাইন করা, তৈরী করা এবং বাজারজাতঃ করা সবটাই গেম ডেভেলপমেন্টের অংশ। গেমটির মূল ধারণাটিকে তৈরী করা, ডিজাইন, নির্মাণ, পরীক্ষা করে দেখা সবটাই এই প্রক্রিয়ার অংশ। গেম ডেভেলপমেন্টের সময় গেমের কার্যকৌশল, গেম খেলে ভোক্তার বিভিন্ন ধরণের পুরস্কার পাওয়া, ভোক্তা বা প্লেয়ার কতটা একাত্ন হতে পারে গেমটির সাথে এবং গেমের বিভিন্ন লেভেলের নকশা কিরকম হবে- সবকিছুই আপনাকে চিন্তা করতে হবে।

একজন গেম ডেভেলপার হতে পারেন একজন প্রোগ্রামার, একজন সাউন্ড ডিজাইনার, একজন আর্টিস্ট। এগুলো বাদেও আরও বেশী কিছু ভূমিকায় থেকে একজন ব্যাক্তি গেম ডেভেলপিঙের সাথে যুক্ত হতে পারেন।

কিভাবে গেম ডেভেলপার হওয়া সম্ভব?

১। ডিগ্রী অর্জন করুন। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বা কম্পিউটার সায়েন্সে একটি ডিগ্রী থাকলে স্বাভাবিকভাবেই আপনি নিয়োগদাতাদের কাছে বেশী গুরুত্ব পাবেন। যারা সেটি পারছেন না, তারা অনলাইনের কোর্স করুন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রীধারীরা গুরুত্ব পাবেনই।
২। কিভাবে গেম ডেভেলপমেন্টের প্রক্রিয়াটি কাজ করে সেটি আদ্যোপান্ত বোঝার চেষ্টা করুন।
৩। গেম ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কিত কম্পিউটার ল্যাঙ্গুয়েজে দক্ষতা অর্জন করুন
৪। নিয়মিত গেম ডেভেলপমেন্টে সম্পর্কিত কাজের অনুসন্ধান করুন
৫। একটি সমৃদ্ধ পোর্টফোলিও গড়ে তুলুন

গেম ডেভেলপমেন্টে করে কিভাবে অনলাইনে টাকা আয় করা যায়?

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গেম ডেভেলপাররা একটি “ফ্রি-টু-প্লে” মডেল অনুসরণ করছেন। তারা গেমারদেরকে বিনামূল্য নিজেদের তৈরী করা গেমগুলো খেলতে দিচ্ছেন, ডাউনলোড করতে দিচ্ছেন। তাহলে তারা অনলাইনে টাকা আয় করছেন কিভাবে?

এক্ষেত্রে তারা তিনটি কৌশল ব্যবহার করেন :

১। মূল গেমের সাথে বাড়তি লেভেল, গেমের বিভিন্ন অনুষঙ্গ, ফিচার থাকে। এগুলো টাকা দিয়ে কিনতে হয়।
২। মাইক্রো ট্রান্স্যাকশান বা অতি অল্প অর্থের বিনিময়ে গেমটির সম্পর্কিত বিভিন্ন ভার্চুয়াল পণ্য বিক্রী করেন।
৩। গেমের ভেতরে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে আয়।

যেসব উদ্যোক্তাগণ নিজেরাই গেম বানিয়ে বিক্রী করছেন, তারা এভাবে কাজ করে থাকেন।

অন্যদিকে আপনি যদি কোন একটি গেম বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করেন, সেক্ষেত্রে উপার্জনের মডেল মূলতঃ দুই রকম :

১। নগদ পারিশ্রমিক। এখানে প্রতিষ্ঠান আপনাকে গেম ডেভেলপমেন্টের জন্য একটি পূর্ব আলোচিত পারিশ্রমিক প্রদান করবেন। এরপর আর কোন লেনদেন হবে না আপনার সাথে। গেম বিক্রীর মুনাফা, গেমের স্বত্তাধিকার, গেমের ভেতরকার কাহিনী বা চরিত্রদের মেধাস্বত্ত্ব কিছুই ডেভেলপার পাবেন না।
২। পাবলিশিং লাইসেন্স এগ্রিমেন্ট। এখানে প্রতিষ্ঠান গেম ডেভেলপিঙের প্রক্রিয়াকালে নির্মাতাকে অর্থ প্রদান করেন। অর্থাৎ নির্মাণের ব্যায়টি বহন করে প্রতিষ্ঠান। সব টাকা প্রতিষ্ঠান একবারে দেন না নির্মাতাকে। গেম তৈরীর এক একটি ধাপ সম্পন্ন হলে নির্মাণ ব্যায় পরিশোধ করা হয়।

তারপর গেম যখন খুচরা বাজারে বিক্রী হয়, তখন ডেভেলপার একটি রয়ালটি পান। অর্থাৎ, বিক্রী থেকে শতকার হারে মুনাফা পেতে থাকেন। তবে আগে যে টাকা ডেভেলপারকে দেয়া হয়েছিল সেটি উঠে আসার পরই একমাত্র তার রয়ালটি পাওয়া শুরু হয়।

# ১২ ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করে অনলাইনে ইনকাম করার উপায়

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করে অনলাইনে ইনকাম করার উপায়
Photo by Pixabay on Pexels.com

অনলাইনে আয় করার উপায়গুলোর মধ্যে সর্বকালের সেরা দক্ষতাগুলোর একটি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট। আজও ওয়েব ডেভেলপাররা ইন্টানেটের সর্বোচ্চ উপার্জকারীদের কাতারে সগৌরবে বহাল রয়েছেন এবং আগামীতেও থাকবেন। যারা অনলাইনে টাকা আয় করার জন্য কি করবেন ভাবছেন, তারা নিশ্চয়ই এই দক্ষতাটি অর্জন করতে পারেন।

ওয়েব ডেভলপমেন্ট কি?

ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব বা কোন প্রাইভেট নেটওয়ার্কের জন্য একটি ওয়েবসাইট গড়ে তুলতে যে কাজগুলো করতে হয় সেগুলিকে একত্রে ওয়েব ডেভেলপিং বলে। পেশাদার সমাজে, ওয়েব ডেভলপমেন্ট বলতে ডিজাইনিং বাদে অন্য কাজগুলোকে বোঝায়। যেমন মার্ক-আপ লেখা, কোডিং করা।

ওয়েব ডেভলপার তিন ধরণের হয়ে থাকে

  1. ফ্রন্ট এন্ড ডেভলপার
  2. ব্যাক এন্ড ডেভেলপার
  3. ফুল স্ট্যাক ডেভেলপার

কিভাবে ওয়েব ডেভেলপার হওয়ার সম্ভব?

১। ওয়েব ডেভলপমেন্ট একটি বিশদ ক্ষেত্র। একটি ওয়েবসাইট নির্মাণে ঠিক কোন কাজটির সাথে আপনি যুক্ত হতে চান, বা কি ধরণের কাজগুলি করতে চান সেটি ঠিক রাখা জরুরী। সুতরাং, লক্ষ্য ঠিক করে অগ্রসর হোন।
২। ছয় মাসেও ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শেখা যায়। তবে সেরকম শেখা দিয়ে আপনি জটিল কাজগুলো করতে পারবেন না। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে হলে আগে আপনাকে কোডিং-ও জানতে হবে। সুতরাং, একটি পূর্ণাঙ্গ ডিগ্রী করতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়।
৩। বিভিন্ন প্রাযুক্তিক দক্ষতাগুলোর পরিমাণ বাড়ান।
৪। কোডিঙের দক্ষতাকে নিয়মিত চর্চা করুন
৫। আপনার কাজগুলো গুছিয়ে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করুন ইন্টারনেটে।

কিভাবে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করে অনলাইনে আয় করা যায়?

কোন প্রতিষ্ঠানের জন্য কাজ করে বা ফ্রিল্যান্সিং সাইটে কাজ করে আপনি ওয়েব ডেভলপার হিসেবে ভাল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারেন। অন্য সমস্ত ডেভলপিং কাজগুলোর অনুরূপ মডেলেই ওয়েব ডেভেলপাররা উপার্জন করে থাকেন।

#১৩ গ্রাফিক্স ডিজাইনিং করে অনলাইনে আয় করার উপায়

২০২১ সালে অনলাইনে আয় করার উপায় সমূহের মধ্যে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং একটি ভালো অবস্থানে রয়েছে। যদিও প্রতিযোগিতা অত্যান্ত বেশী এই ক্ষেত্রটিতে। কারণ,অনেকেই সামান্য একটু মাইক্রোসফট-পেইন্ট পারলেও, ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মগুলোতে নিজেকে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে দাবী করে থাকেন।

গ্রাফিক ডিজাইনিং কি? (What is Graphic Design)

Graphic Design বা গ্রাফিক ডিজাইন এমন একটি শিল্প যেখানে পেশাদার ডিজাইনাররা মানুষকে কোন একটি বার্তা পৌঁছে দেয়ার জন্য ভিজুয়াল কন্টেন্ট বা দৃষ্টিগ্রাহ্য কন্টেন্ট তৈরী করেন। এক্ষেত্রে ভিজুয়াল হায়ারার্কি এবং পেজ লে-আউট কৌশল ব্যবহার করা হয়। ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুসারে, টাইপোগ্রাফি এবং ছবি ব্যবহার করেন ডিজাইনার। এমন ভাবে ডিজাইন তৈরী করা হয়, যেটি মানুষকে আকর্ষণ করবে।

একজন গ্রাফিক ডিজাইনার অনেক ধরণের কাজ করে থাকেন। যেমন, পিএসডি ফরমেটে ওয়েব পেজ লেআউট ডিজাইন, বিজ্ঞাপনী প্রচারণাপত্র, কোম্পানীর লোগো, সাইন, বইপত্র-ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ, বার্ষিক রিপোর্ট এবং এরকম অন্যান্য যোগাযোগ সম্পর্কিত বিষয়গুলোর নকশা করা।

কিভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হবেন?

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াও গ্রাফিক্স ডিজাইনার হওয়ার সম্ভব। সেজন্য নিজেকে পরিশ্রম করতে হবে প্রচুর। যেভাবে আপনি নিজে নিজে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হয়ে উঠতে পারেন –

১। আঁকতে শিখুন : ডিজাইনের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে হলে আপনার আঁকাআঁকির বিষয়টাকে বুঝতে হবে। হাতে বা কম্পিউটারে যেকোন ভাবে আঁকতে শিখা বাধ্যতামূলক। নিজের চিন্তাকে এঁকে প্রকাশ করতে না পারলে ডিজাইনার হতে পারবেন না। আপনাকে জয়নুল আবেদীন হতে হবে না সেজন্য। নিজের আইডিয়াকে একটি স্পষ্ট ভিজুয়াল রূপ দিতে পারাটাই যথেষ্ট।
২। ডিজাইনিঙের মৌলিক বিষয়গুলো জানুন : কালার থিওরী, গ্রিড, স্পেসিং, টাইপোগ্রাফি – ভিজুয়াল ডিজাইনের এই মৌলিক ধারণাগুলো সমন্ধে শিখতে হবে।
৩। বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক সফটওয়্যারের ব্যবহার শিখুন : একজন দক্ষ গ্রাফিক ডিজাইনার হওয়ার জন্য আপনাকে কয়েকটি নির্দিষ্ট ডিজাইন সফটওয়্যার ব্যবহার করা শিখতে হবে। গুগল এই বিষয়ে সাহায্য করতে পারে। সেখানে অসংখ্য টিউটোরিয়াল রয়েছে।
৪। কোন একটি ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ হোন : গ্রাফিক্স ডিজাইনিঙের পেশাটি প্রতিযোগিতাময়। তাই প্রাথমিক দক্ষতাগুলো অর্জনের পর কোন একটি বিশেষ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ হওয়ার চেষ্টা করুন। লোগো তৈরী, ওয়েব ডিজাইন, আমন্ত্রণ পত্র তৈরী, ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইন, আইকোনোগ্রাফি, ইনফোগ্রাফি, মোবাইল অ্যাপ ডিজাইন এসবের যেকোন একটিতে মনযোগ দিন।
৫। চর্চা করুন : গ্রাফিক্স ডিজাইনিং একটি সৃজনশীল কাজ। যত চর্চা করবেন, সময় দেবেন ততই আপনার উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশ হবে। গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এমন জিনিস যেটা আপনি করতে করতে শিখবেন।
৬। সমৃদ্ধ পোর্টফোলিও তৈরী করুন : ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে, ক্লায়েন্টরা এমন কাওকে কাজ দিতে চান না, যার কাজের পর্যাপ্ত নমুনা তারা দেখতে পাচ্ছেন না। আপনার বিষয়ে ক্লায়েন্ট যেন একটি ধারণা পান, সেজন্য ভালো কাজগুলির একটি সংকলন তৈরী করুন।

কিভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং করে অনলাইন আয় করা যায়?

ডিজিটাল ফাইল বিক্রী করুন

অনলাইনে আয় করার একটি সহজ উপায় হচ্ছে ডিজিটাল ফাইল বিক্রী। কিছু ছবি, টেক্সচার, ফন্ট তৈরী করুন। তারপর সেই ডিজিটাল ফাইলগুলো অনলাইনে বিক্রী করুন। এই কাজটি বিভিন্ন ভাবে করা যায়। কোন একটি মার্কেটপ্লেসে যুক্ত হতে পারেন। তারা আপনার কাজে প্রমোট করবে।

আবার নিজেই একটি সাইট খোলা যায়। নিজের সাইটে বিক্রী করলে লাভের পুরোটাই আপনার। নিজের কাজের ওপর নিয়ন্ত্রণও থাকল। তবে সাইটকে অপটিমাইজ করতে হবে। আপনার কাজটি ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন ব্যাক্তি এবং প্রতিষ্ঠানগুলো স্বত্ত্ব কিনবে। এভাবে একটি ফাইল তৈরী করার বহু বছর পর্যন্ত আপনি অনলাইনে প্যাসিভ ইনকাম করে যেতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করুন

প্রচুর মানুষের তাদের প্রতিষ্ঠানের জন্য লোগো দরকার, বিজ্ঞাপন দরকার, ওয়েব পেজের জন্য আর্ট দরকার। ফ্রিল্যান্সার হিসেবে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার এই কাজগুলি করে দিতে পারেন। আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার, পিপল পার আওয়ারের মত মার্কেটপ্লেসে ঘোরাফেরা করে এই ধরণের কাজগুলো যোগাঢ় করতে হবে।

# ১৪ ই-বুক প্রকাশ করে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার উপায়

এই পয়েন্টটি বিশেষ করে ঔপন্যাসিক, গল্পলেখক, কবিদের জন্য। সাহিত্য ছাড়াও অন্য বিষয়ের ইবুক থেকেও তো ইনকাম করা যায়ই (হয়তো আরও বেশীই যায়)। কিন্তু যারা শুধু সাহিত্যই করতে চান, তাদের জন্য ইন্টারনেটে এটিই অর্থ আয়ের সবচেয়ে ভালো উপায়।

সাম্প্রতিক কালে পশ্চিমবঙ্গের একজন লেখক (অভীক দত্ত) তার বাংলা সাহিত্যকর্মের পিডিএফ বিক্রী করে দশ লক্ষ টাকা দান করেছিলেন সরকারি ত্রাণ তহবিলে। এর থেকে একটি ধারণা করা সম্ভব যে বাংলা ইবুকের যথেষ্ট বড় বাজার তৈরী হয়েছে বর্তমানে।

তাছাড়া পিডিএফ তৈরীতে যেহেতু খুব কম বা একেবারেই কোন খরচ করা লাগে না, তাই বিক্রীতে দাম কাগজের বইয়ের তুলনায় কম রাখা যায়।

একটি সাহিত্যকর্ম তৈরী করা এবং সেটিকে বিক্রী করতে পারা, দুটি আলাদা ক্ষেত্র। আপনি যদি মনে করেন যে আপনার একটি উপন্যাস লেখার আছে, তাহলে লিখে ফেলুন।

কিন্তু প্রিন্ট মিডিয়ায় সেটিকে প্রকাশের জন্য প্রকাশকের কাছে ধর্ণা দেয়ার প্রয়োজন নেই। বরঞ্চ, অনলাইন মার্কেটিং বোঝার চেষ্টা করুন।

পশ্চিমবঙ্গের লেখক তাঁর বই বিক্রী করেছেন ফেসবুক এবং নিজস্ব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। সুতরাং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইন্টারেকশান বাড়ান। এছাড়া কিছু টাকা খরচ করে ফেসবুকে বিজ্ঞাপনও দিতে পারেন। ই-বুকের প্রচ্ছদ এবং গ্রাফিক ডিজাইনগুলো আকর্ষণীয় হওয়া জরুরী।

সাহিত্য বাদেও মোটিভেশানাল, টিউটোরিয়াল জাতীয় ই-বুকও প্রচুর বিক্রী হয়।

#১৫ ইমেইল মার্কেটিং করে অনলাইনে আয় করার উপায়

প্রতিদিনই ইনবক্সে আমরা কিছু না কিছু ইমেইল পাই। এর মধ্যে কয়েকটির জন্য আপনি অপেক্ষা থাকেন। এগুলো হয়তো বিভিন্ন নিউজলেটার। আপনি সাবস্ক্রাইব করেছিলেন। আবার কিছু ইমেইল থাকে যেগুলি কিভাবে যে আপনার ইনবক্সের সন্ধান পেল, বোঝাই যায় না।

একটি ‘নিশে ইমেইল নিউজলেটার’ অনলাইনে ইনকামের একটি ভাল পদ্ধতি হতে পারে। এর মাধ্যমে বহু সংখ্যক সম্ভাব্য ক্রেতার সাথে যোগাযোগ রাখা যায়। একটি শক্তিশালী ব্যবসা দাড় করানোর অন্যতম উপায় ইমেইল নিউজলেটার।

একটি ইমেইল নিউজলেটার শুরু করা তেমন কঠিন কিছুও নয়। মেইলচিম্প, ড্রিপ, কনভার্ট কিটের মত প্লাটফর্ম থেকে সহজেই কাজটি করা সম্ভব। ইমেইল নিউজলেটারের ক্ষেত্রে আপনাকে এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে-

১। একটি নিশে ঠিক করুন। এটা নিয়েই আপনি কাজ করবেন। কিভাবে ইমেইলগুলো লিখবেন তার স্টাইলটি নির্ধারণ করুন।
২। একটি ইমেইল মার্কেটিং প্রোভাইডারকে বেছে নিন।
৩। খুব সরল একটি ল্যান্ডিং পেজ তৈরী করুন। এই পেজে ট্রাফিক আনার চেষ্টা করুন।
৪। তালিকায় প্রাপকদেরকে নিয়মিত ইমেইল পাঠান।

আপানর ইমেইল তালিকার উদ্দেশ্য হচ্ছে, মানুষের সাথে আস্থা এবং বিশ্বাসের সম্পর্ক তৈরী করা। যেন, আপনার কাস্টমারগণ প্রতিদিনই আপনার ইমেইল খুলেন।

আপনার একটি মোটামুটি তালিকা তৈরী হয়ে গেলে অনলাইনে টাকা আয় করার বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরী হবে –

১। আপনার নিজস্ব ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রী করুন
২। কোন একটি মেম্বারশীপ কোর্স বিক্রী করুন
৩। অ্যাফিলিয়েট অফার দিন
৪। বিভিন্ন স্পন্সরশীপ বিক্রী করা

#১৬ নিজের ওয়েবসাইট বিক্রী করে অনলাইনে আয় করার উপায়

আপনার যদি ২০২৪ সালে, একটি এমন একটি ওয়েবসাইট থাকে যেটা থেকে মাসে ১০,০০০ টাকা ইনকাম হয়, এবং ভবিষ্যতে এই আয় আরও বাড়ার সম্ভাবনা দেখা যায়, তাহলে সেই ওয়েবসাইটটি আপনি ১০০,০০০ থেকে ৩০০,০০০ টাকা ভেতরে বিক্রী করতে পারবেন। এটি মূলতঃ ইংলিশ ওয়েবসাইটের বেলায় সত্য। ওয়েবসাইট যদি যথেষ্ট প্রমিজিং না হয় তাহলে এই দামে বিক্রী করতে পারবেন না।

অনলাইনে অনেকেই নিয়মিত এরকম মার্জিনাল আয়ের ওয়েবসাইট বানাচ্ছেন এবং বিক্রী করছেন। পুরো কাজটি করতে এক বছর মত সময় লাগবে। কারণ, এডসেন্স এবং অন্যান্য রেভিনিউ জেনারেটরগুলোর আপনার সাইটকে অনুমোদন করতে এবং এস-ই-ও’র ফলাফল পেতেই প্রথম দিকে নিম্নে তিন-চার মাস সময় লেগে যায়।

ওয়েবসাইট বিক্রী করে আয় করার জন্য, আপনাকে কোডার, ডিজাইনার, কন্টেন্ট ক্রিয়েটর কোনটাই হওয়ার প্রয়োজন নেই। আপনাকে ওয়েব সংক্রান্ত কিছু সাধারণ বিষয় বুঝতে হবে। এবং, বলা বাহুল্য, শ্রমের সাথে সাথে অর্থও বিনিয়োগ করতে হবে।

একটি উপার্জনক্ষম ওয়েবসাইট তৈরী করতে কমপক্ষ এই কয়েকটি জায়গায় আপনাকে বিনিয়োগ করতে হবে –

১। ডোমেইন
২। ওয়েব ডেভেলপিং
৩। ডিজাইনিং
৪। কন্টেন্ট
৫। এসইও

অনেক ক্ষেত্রেই ডোমেইন, ডেভেলপিং, ডিজাইনিং একটা প্যাকেজের মধ্যেই হয়ে যেতে পারে। কন্টেন্ট নিজে তৈরী না করলে আপনাকে কিনতে হবে। কমপক্ষে ১০০টি পোস্ট আপনার সাইটে থাকা দরকার। এগুলোর কোনটাই ১০০০ ওয়ার্ডের কম হবে না। তার মধ্যে ২০-৩০টি তিন হাজার ওয়ার্ডের পোস্ট, এবং ১০টি পাঁচ হাজার ওয়ার্ডের পোস্ট থাকতে হবে। কন্টেন্ট ইউনিক হতে হবে। সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পাতায় র্যাঙ্ক করতে হবে।

সাধারণতঃ, একটি ওয়েবসাইট মাসে যা আয় করে তার থেকে ১০-৩০ গুণ দামে বিক্রী করতে পারবেন আপনি। তবে বিষয়টি অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করবে –

১। আপনার সাইটের বয়স
২। ডোমেইন অথরিটি
৩। কি পরিমাণ মানুষ আপনার সাইট ভিজিট করে
৪। কি পরিমাণ লাভ হয় আপনার সাইট থেকে
৫। কত গুলো উৎস থেকে আপনি আয় করতে পারেন।
৬। আয়ের স্থিরতা
৭। আপনার সাইট কি আরও ভালোর দিকে যাবে, এরকমই রয়ে যাবে, নাকি পড়তির দিকে।

#১৭ ওয়েবসাইট কেনা-বেচা করে অনলাইনে ইনকাম করার উপায়

ওয়েবসাইট কেনা-বেচা অনেকটা বাড়ি কেনা বেচার মতই। আপনি একটি বাড়ি কিনে, সেটি কিছু মেরামত করে, আরও বেশী দামে বিক্রী করে দিবেন।

যেকোন ব্যবসার মতই এখানেও ঝুঁকি আছে। যেকারণে, যেই টাকা উঠে না আসলে আপনি বিপদে পড়ে যাবেন, সেই টাকা দিয়ে ওয়েবসাইট কেনার দরকার নেই।

ওয়েবসাইট কেনা-বেচা করে লাভবান হতে চাইলে আপনি এই কাজগুলি করতে পারেন :

১। ওয়েবসাইট বেচা কেনার মার্কেটপ্লেসগুলোতে যান। যেমন এম্পায়ার ফ্লিপার্স, ফ্লিপা। এখানে গিয়ে একটি কম দামের ওয়েবসাইট খুঁজে বের করুন। এমন একটি ওয়েবসাইট নিন যেটাকে আপনার মনে হবে যে আপনি আরও ভালো করতে পারবেন।
২। ওয়েবসাইটটি কি রকম আয় করে, কিরকম ভিজিটর আসে, ভিজিটরের উৎস ও ধরণ, অন্য কোন সাইট এই ওয়েবসাইটের লিংক শেয়ার করেছে এসব তথ্য সংগ্রহ করুন।
৩। মালিক প্রকৃতই কি কারণে তার সাইটটি বিক্রী করতে চাচ্ছেন সেটি জানুন।
৪। সবকিছু ঠিক থাকলে, সাইটটি কিনে ফেলুন।
৫। সাইটটিতে আপনার আইডিয়া অনুযায়ী সংযোজন বিয়োজন করুন।
৬। সাইটের ট্রাফিক এবং ইনকাম বাড়ান
৭। এরপর বেশী দামে সাইটটি বিক্রী করে দিন।

#১৮ ডোমেইন নাম কেনা বেচা করে অনলাইনে আয় করার পদ্ধতি

ওয়েবসাইটের মত করে আপনি ডোমেইনের নামও কেনা বেচা করতে পারেন। ইন্টারনেটের মার্কেটপ্লেস থেকে একটা ডোমেইন নেম কিনে রাখুন। ইন্টারনেটে প্রতিদিনই বহু মানুষ নতুন ব্যবসা খুলছেন। সময়ে নিয়ে চিন্তা করে একটি সম্ভাবনায় ডোমেইন নেম যদি কিনে রাখতে পারেন, ভবিষ্যতে কোন না কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠার আপনার কাছ থেকে ভাল দামে সেটি কিনতে চাইবেনই।

ডোমেইন নেম কেনা বেচা করে অনলাইন থেকে যথেষ্ট আয় করা সম্ভব, এই সময়ে। অনেকেই শত শত কি হাজার হাজার ডলার কামিয়ে নিচ্ছেন প্রতি বছর এই কাজটি করে।

#১৯ স্টক ফটো এবং ফুটেজ বিক্রী করে অনলাইনে ইনকাম করার উপায়

স্টক ফটো বিক্রী করে অনলাইনে ইনকাম করার উপায়
Photo by George Milton on Pexels.com

যারা ছবি তোলেন, প্রাকৃতিক দৃশ্যের ভিডিও ফুটেজ তৈরী করতে পছন্দ করেন, তারা এই কাজটি থেকেও অনলাইনে আয় করতে পারেন। স্টক ফটো এবং ফুটেজ আপলোড করা যায় এরকম অনেক সাইট আছে। তাদের ইউজার সংখ্যাও প্রচুর। অনেক ব্লগ এবং ওয়েবসাইটেরই স্টক ফটোর প্রয়োজন হয়। তারা এসব সাইটে এসে যখন আপনার কোন ছবির লাইসেন্স নিতে চাইবেন তখন আপনি টাকা পাবেন।

তাই, মোবাইলে তুলে রাখা যেসব ছবি ব্যাক্তিগত নয়, ধরুন প্রাকৃতিক দৃশ্যের, জিনিসপত্রের, পশুপাখির, কোথাও ঘুরতে গিয়েছিলেন সেখানকার দর্শনীয় বিষয়ের- এগুলো শাটার স্টক বা আইস্টক ফটো -র মত সাইটগুলোতে আপলোড করে রাখতে পারেন।

স্টক ফুটেজে বিক্রীর জন্য সবচেয়ে ভালো আর্ট-গ্রিড এবং পন্ড পাইভ। স্টক আপোলড করে বিক্রী করাই যদি আপনার প্রাইমারি উদ্দেশ্য হয়, তাহলে যেই মার্কেটপ্লেসে বিক্রী করছেন তাদের বাকী স্টক ফটো বা স্টক ফুটেজগুলো কেমন দেখে নিন। সেই অনুযায়ী পোর্টফোলিও নির্মাণ করলে আপনার সাফল্যের সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। কারণ সাইটে যেমন ফটো বা ফুটেজ আপনি বেশী দেখবেন, বুঝবেন ঐ ধরণের জিনিসের জন্যই এই সাইটে আসে মানুষ।

#২০ ওয়েব ডিজাইনিং করে অনলাইনে আয় করার পদ্ধতি

ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে ওয়েব ডিজাইনিং করে আপনি ধনী ব্যাক্তিতে পরিণত হতে পারে। ২০২৪ সালে অনলাইন থেকে আয়ের একটি অন্যতম উপায় ওয়েব ডিজাইনার হওয়া।

ওয়েব ডিজাইনিং আর ডেভেলপমেন্টের মাঝে তফাত কোথায়?

ওয়েব ডিজাইনিং আর ডেভেলপমেন্টের মাঝে কিছুটা পার্থক্য আছে। ওয়েব ডিজাইনার একটি ওয়েবসাইটের নান্দনিক দিকটি নিয়ে যেমন কাজ করেন, তেমনি কিভাবে ওয়েবসাইটে ভ্রমণ করাটা ভিজিটরের জন্য উপভোগ্য হবে, স্বাচ্ছন্দ্যময় হবে, সেটিও তিনি পরিকল্পনা করেন।

ওয়েবসাইটিকে কম্পিউটারের স্ক্রিণে কেমন দেখাবে সেটির পুরো দায়ভার ওয়েব ডিজাইনরারের। অ্যাডোব ফটোশপের মত সফটওয়্যার ব্যবহার করে সাধারণতঃ ওয়েব ডিজাইনাররা ওয়েবসাইটের লে-আউট তৈরী করেন।

অন্যদিকে, ডেভেলপররা কোন ওয়েব ডিজাইনকে অনুসরণ করে একটি কার্যক্ষম ওয়েবসাইট তৈরী করেন। বলা যায়, ডিজাইনার একটি মূর্তি গড়ে দিচ্ছেন, ডেভেলপার সেটিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করছেন।

এক্ষেত্রে, দু’জনকেই সমন্বয় করতে হয়। ওয়েব ডেভেলপররা কাজ করেন এইচটিএমএল, সিএসএস, জাভাস্ক্রিপ্ট, পিএইচপির মত প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ নিয়ে।

ওয়েব ডিজাইনারকে কি কি জিনিস জানতে হয়?

আপনি বিশ্ববিদ্যালয়-ডিগ্রী না নিয়েও ওয়েব ডিজাইনার হতে পারেন। যদি ভালো কাজ আপনার পোর্টফোলিওতে থাকে, তাহলে কোন ডিগ্রী ছাড়াই ফ্রিল্যান্স মার্কেট প্লেসেপ্রচুর কাজ পাবেন।

একজন ওয়েব ডিজাইনকে কিছু মৌলিক বিষয় জানতে হয় :

  • ডিজাইন বিষয়ে ধারণা। কিভাবে একটি মানুষের চোখে আকর্ষণীয়, বা সুন্দর হয়ে ওঠে সেটি আপনাকে বুঝতে হবে।
  • একটি ওয়েবপেজের লে-আউট কি। কিভাবে তৈরী করতে হয়। কোন লে-আউটটি অধিকাংশ মানুষের জন্য সহজ, পরিচিত কিন্তু একঘেয়ে নয়।
  • ফন্ট এবং টাইপোগ্রাফি বিষয়ে ধারণা
  • রঙ বিষয়ক ধারণা। রঙের সমন্বয় কিভাবে ইউজারের মেজাজকে, সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে সেটি আপনাকে বুঝতে হবে।
  • গ্রাফিক্স এবং ছবিকে কিভাবে সমন্বয় করতে হয়।
  • সাইটে বিভিন্ন কাজ, যেমন কিছু পড়তে চাওয়া, একাউন্ট খোলা, সাবস্ক্রাইব করা, রেজিস্ট্রেশান করা, পণ্য কেনা, সাইটের সাথে ভিজিটরের ব্যাক্তিগত যোগাযোগ ইত্যাদি বিষয়গুলো ভিজিটরের জন্য যতটা পারা যায় সহজ করে দিতে হবে
  • বিভিন্ন ওয়েবডিজাইন সফটওয়্যার সমন্ধে ধারণা থাকতে হবে
  • ফ্রিল্যান্স ওয়েব ডিজাইনারদেরকে এইচটিএমএল, জাভাস্ক্রিপ্ট, সিএসএসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ দখল রাখতে হবে।

#২১ ডিজিটাল মার্কেটিং করে অনলাইনে আয় করার পদ্ধতি

ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে এখন ডিজিটাল মার্কেটিং অত্যান্ত চাহিদা সম্পন্ন দক্ষতা। ডিজিটাল মার্কেটিংকে অনলাইন মার্কেটিং-ও বলে। কোন একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আপনাকে তাদের ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য বলবে। আপনি তাদের ব্র্যান্ডকে অনলাইনবাসীর কাছে পরিচিত করে তুলবেন। এই কোম্পানীর জন্য ইন্টারনেটে আপনি গ্রাহক খুঁজে বের করবেন, এবং প্রয়োজনে গ্রাহক তৈরী করবেন। এই কাজটি করার জন্য অনলাইনে যত ধরণের স্কিলের কথা এতক্ষণ আলোচনা করা হয়েছে, তার প্রতিটিকেই আপনার ব্যবহার করতে হতে পারে। অর্থাৎ, কোম্পানীর ওয়েব কন্টেন্ট থেকে শুরু করে, ইমেইলকে তাদের গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ, তাদের ওয়েব সাইট তৈরী করে দেয়া, সবটাই ডিজিটাল মার্কেটিঙের অন্তর্ভুক্ত।

বলা বাহুল্য, একেক ক্লায়েন্টের ক্ষেত্রে আপনার কাজের ধরণটি একেক রকম হবে।

ডিজিটাল মার্কেটিং-এ যে জায়গাগুলো নিয়ে কাজ করতে হয় :

  • কোম্পানীর ওয়েবসাইট
  • সোশ্যাল মিডিয়া
  • সার্চ ইঞ্জিনে র্যাংক করা
  • ইমেইল মার্কেটিং
  • অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেখানো
  • করপোরেট ব্লগ

সফলভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করে বছরে কোটি কোটি টাকা আয় করা সম্ভব। তবে বড় প্রজেক্ট বা একাধিক প্রজেক্ট এক সাথে সামলাতে হলে আপনার একটি টীম লাগবে।

অনলাইনে টাকা আয় করার উপায় ২০২৪ সালের তালিকাটি এখানেই শেষ করছি। প্রতিটি পদ্ধতিতেই আপনার মেধা এবং শ্রম দিতে হবে। যদি একটির পেছনেও সিরিয়াসলি সময় দেন আপনি, দীর্ঘমেয়াদে সফল একটি অনলাইন ক্যারিয়ার তৈরী করতে পারবেন। শুভ হোক সবার, অনলাইন পরিক্রমণ।

Share this

Leave a Comment